ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত সাতটি পরিবারকে মোট ১৫ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হয় নিহত যতন সাহা ও প্রান্ত দাসের পরিবারকে। অন্য পাঁচ পরিবারকে দেওয়া হয় এক লাখ করে।
শনিবার দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী ব্যাংক রোডের রাধা মাধব জিউর মন্দিরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের আনুষ্ঠানিকভাবে চেক হস্তান্তর করেন জেলার ডিসি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খান।
ডিসি বলেন, “সরকারের পাশাপাশি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য যে বড় সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে, তা পরিবারগুলোকে ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এই টাকা কিভাবে খরচ করবে তার দিকনির্দেশনাও তাদের দেওয়া হয়েছে।”
গত ১৩ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার নানুয়া দীঘির পাড়ে এক পূজামণ্ডপে কোরান শরিফ অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে প্রচার চালানো হয়। এর জেরে কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পুজামণ্ডপে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করা হয়। তাতে ক্ষগ্রিস্ত হয় অনেক পরিবার।
তাদের উদ্দেশ্যে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের সদস্য মো. জামাল উদ্দিন বলেন, “আপনি একা নন। পুরো বাংলাদেশ আছে আপনার পাশে। এ বার্তাই আমরা পৌঁছে দিতে চেয়েছি। যার যতটুকু ক্ষতি হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। বিভিন্ন সদস্যের দেওয়া তথ্য বিবেচনা করে ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি পরিবারকে ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করে এ অর্থসহায়তা দেওয়া হয়।”