সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম জানান, রোববার সকালে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে ওই ছাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা হয়। পরে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় সে।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় এই ছাত্রীর ফুফু এ ঘটনায় মোহাম্মদ হাসান নামে এক যুবককে আসামি করে সোনাগাজী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেন।
হাসান উপজেলার চরচান্দিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ পূর্ব চরচান্দিয়া এলাকার বেলাল হোসেনের ছেলে। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক রয়েছে।
মামলার বরাতে ওসি বলেন, একই এলাকার বাসিন্দা ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে হাসানের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। পারিবারিক বিরোধের জেরে ওই ছাত্রী তার এক ফুফুর বাড়ি থেকে লেখাপড়া করছিল।
গত রোববার রাতে (১০ অক্টোবর) সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে হাসান ওই ছাত্রীর ফুফুর বাড়ির সামনে যায়। পরে মেয়েটিকে মোবাইলে ফোন করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে হাসান।
এ সময় মেয়েটি বিয়ের জন্য চাপ দেওয়ায় হাসানের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। পরদিন সকালে হাসান আবার তাকে বিয়ে করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ফুফুর বাড়ির সামনে নামিয়ে দেয়।
একপর্যায়ে ওই ছাত্রী চিৎকার শুরু করলে হাসান অটোরিকশা করে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে হাসানের পরিবার ওই ছাত্রী ও তার ফুফুকে ঘটনাটি কাউকে না জানাতে হুমকি দেয়।
মেয়েটির ফুফু জানান, ওই ঘটনার পর তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাজপতিদের জানান। কিন্তু তারা ঘটনাটি সমাধান করবেন বলে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। ঘটনার পাঁচদিন পরও কোনো সুরাহা না হওয়ায় তারা থানায় মামলা করেন।
এ ঘটনায় হাসানকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলে জানান ওসি।