বুধবার রাতে মন্দিরে হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও উপজেলা প্রশসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এলাকায় পুলিশি টহল জোরদার করেছেন তারা।
বিজিবি শ্রীমঙ্গল ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুল ইসলাম বলেন, “ধর্ম যার যার আনন্দ সবার। পূজার আনন্দ যাতে কেউ মলিন না করতে পারে, সেজন্য জেলা পুলিশের পাশাপাশি ৪৬ বিজিবি থেকে দুই উপজেলায় দুই প্লাটুন বিজিবি মধ্য রাত থেকেই টহল শুরু করেছে।”
বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে একদল লোক মুন্সীবাজার মইডাইল পূজা মণ্ডপে হামলা চালিয়ে প্রতিমা ভাঙচুর করে বলে কমলগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস জানান।
মুন্সীবাজার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সুনীল মালাকার ও রেজাউল করিম নোমান জানান, রামপুর সার্বজনীন পূজা মণ্ডপ ও নারায়ণক্ষেত শব্দকর একাডেমি পূজামণ্ডপের গেইটও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে।
কমলগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রামভজন কৈরী কামারছড়া চা বাগান পূজামণ্ডপে প্রতিমা ভাঙচুরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।
মৌলভীবাজার জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতা জহর তরফদার বলেন, কমলগঞ্জে ছয়টি মন্দিরের পাশাপাশি কুলাউড়ায় আরো দুটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা হয়েছে।
“কমলগঞ্জে প্রতিমা ভাঙা দুটি মন্দিরের একটিতে পৃথক জায়গায় ঘট স্থাপন করে শুধু দেবীর নবমীবিহিত পূর্জা হবে। তবে এই মুহূর্তে জেলায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”
কমলগঞ্জের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশেকুল হক বলেন,“আমরা সবগুলো স্থান পরিদর্শন করছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। পূজামণ্ডপের নিরাপত্তা রক্ষায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। একই সাথে শান্তিপূর্ণভাবে পূজা শেষ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মেতায়েন করা হয়েছে।”
বুধবার সকালে কুমিল্লা শহরের একটি মন্দিরে কোরআন অবমাননার কথিত অভিযোগ তুলে কয়েকটি মন্দিরে হামলা হয়। পরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে শহরে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
এর জেরে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ বাজারে লক্ষ্মীনারায়ণ জিওর আখড়া মন্দিরে হামলা ও ভাংচুর হয় রাতে। হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় প্রাণহানি ঘটে। পরে সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করে বিজিবি মোতায়েন করা হয়।
আরও পড়ুন: