বোয়ালিয়া থানার ওসি নিবারণ চন্দ্র বর্মন জানান, মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর কুমারপাড়া এলাকার ঘোষপাড়ার বাড়ি থেকে মায়া রাণী ঘোষ (৬৫) নামে ওই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার করেন তারা।
মায়া রাণী মুন্নুজান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। সেখান থেকে তিনি অবসরে যান।
ওসি বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে মায়ার পালিত মেয়ে পুতুল রাণী মায়ের খোঁজ নিতে গিয়ে ওড়না পেঁচানো ও মুখ বাঁধা অবস্থায় মায়ার লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুতুলের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে লাশ দেখে থানায় দেয়।
“মায়ার লাশ ঘরের মেঝেতে পাওয়া গেছে। তার স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনটি পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, মায়াকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”
ওসি আরও বলেন, মায়া বাড়িতে একাই থাকতেন। তার পালিত মেয়ে পুতুল স্বামীর সঙ্গে একই এলাকায় থাকেন। সকাল ১০টার দিকে দুধ্ওয়ালা মায়ার বাড়িতে দুধ দিয়ে আসে। এরপর পরই ভাড়া নেওয়ার জন্য দুইজন ব্যক্তি ওই বাড়িতে গিয়েছিল দুধওয়ালা পুলিশকে জানিয়েছে।
এ ঘটনায় পুতুল ও তার স্বামী এবং দুধওয়ালাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।