মিরপুর উপজেলার আমলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে বুধবার ওই ইউপির সদস্যরা লিখিত অনাস্থা দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস অভিযোগ পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা এই অভিযোগকে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করছেন।
ইউপি সদস্যদের দেওয়া অনাস্থাপত্রে বলা হয়, চেয়ারম্যান আনোয়ারুল ইসলাম মালিথা ইউপি সদস্যদের ভাতা প্রদান করেননি। কাবিটার ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমলা সাগরখালি আশ্রয়ণ প্রকল্পের রাস্তা মেরামত ও কালভার্টের কাজ নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে করা হয়েছে এবং সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করেছেন।
বিধবা, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী ভাতার ক্ষেত্রে তিনি ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে অবৈধভাবে টাকা নিয়েছেন এবং ভুয়া বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারি বরাদ্দের টাকা উত্তোলনসহ বিভিন্ন অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ করেন ইউপি সদস্যরা।
অনাস্থাপত্রে স্বাক্ষরকারী সদস্যরা হলেন প্যানেল চেয়ারম্যান সিদ্দিক আলী, হাসমত আলী, আব্দুল হান্নান, রমজান আলী, আমান উল্লাহ আমান, রাকাত আলী, সংরক্ষিত নারী সদস্য রানি খাতুন।
হঠাৎ এই অভিযোগকে ‘মিথ্যা’, ‘বানোয়াট’ ও ‘ভিত্তিহীন’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত আমাকে হেয় করার জন্য করা হয়েছে।”
মিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লিংকন বিশ্বাস বলেন, “গত বুধবার [১৬ অগাস্ট] বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ তুলে আনোয়ারুল ইসলাম মালিথার বিরুদ্ধে একটি অনাস্থাপত্র দিয়েছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের আটজন সদস্য। বিষয়টি তদন্ত সাপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”