এবার করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে লকডাউনের কারণে শ্রমজীবী মানুষ অর্থাভাবে থাকলেও এরই মধ্যে তাদের আবশ্যক হিসেবে এই প্রস্তুতি নিতে হচ্ছে।
বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, বহনযোগ্য চুলা তৈরি, শুকনো খাবার ও জ্বালানি সংগ্রহ করার মত কাজ নিয়ে ব্যস্ত সবাই। তবে ঘরবাড়ি মেরামতের মত ব্যয়বহুল কাজগুলো অনেকেই করতে পারছে না।
উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের শেখ পালানু গ্রামের আবুল হোসেন বলেন, “লকডাউনের কারণে ঢাকায় কাজ করতে যেতে পারি নাই। ঘরবাড়ি মেরামত করানো নিয়ে চিন্তায় আছি।”
উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, “লকডাউনের কারণে মানুষ আয়রোজগার করতে না পেরে জিনিসপত্র কিনে রাখতে পারছে না। ঘরবাড়ি ঠিক করা, কিছু অর্থ সঞ্চয়ে রাখার মত জরুরি কাজগুলো করতে পারছে না। বন্যা মোকাবিলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে এবার।”
তবে জেলার ডিসি রেজাউল করিম জানিয়েছেন, বন্যা মোকাবেলার জন্য যথেষ্ট প্রস্তুতি নিয়েছেন তারা।
“এ বিষয়ে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের সার্বিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বন্যা মোকাবেলায় পর্যাপ্ত নৌকা ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া বন্যাকবলিতদের জন্য পর্যাপ্ত চাল, নগদ অর্থ উপজেলা পর্যায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”