মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহারের দেওভোগে আইভীর বাড়ি যান নারায়ণগঞ্জ-৪ (ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ) আসনের এই সংসদ সদস্য।
নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ তার সঙ্গে ছিলেন।
এই সময় এক আবেগঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়। শামীম ওসমান মেয়র আইভীর পাশে বসে মাথায় হাত রেখে তাকে সান্ত্বনা দেন এবং তার মা প্রয়াত মমতাজ বেগমের স্মৃতিচারণ করেন।
গত রোববার [২৫ জুলাই] বিকালে দেওভোগের বাসায় বার্ধক্যজনিত কারণে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন আইভীর মা মমতাজ বেগম। তার বয়স হয়েছিল ৭০ বছর।
আইভীর বাড়ি যাওয়ার আগে শামীম ওসমান নগরের মাসদাইর কেন্দ্রীয় কবরস্থনে গিয়ে মমতাজ বেগমের কবর জিয়ারত করেন এবং দোয়ায় অংশ নেন।
শামীম ওসমান স্মৃতিচারণ করে বলেন, “আমি ৯৬ সালে যখন এমপি হই তখন এই মেয়রের বাড়ির সামনে তার পিতা আলী আহম্মদ চুনকার নামে সড়ক করে দেই। ওই সময় আমি মেয়রের বাড়ি আসলে চাচি (মমতাজ বেগম) আমাকে নিজ হাতে খাইয়েছেন।”
কবরস্থানে শামীম ওসমান সাংবাদিকদের বলেন, “পৌরপিতা চুনকার সহধর্মীনি আমার মায়ের মতোই। একজন মা যেভাবে স্নেহ করে, ভালোবাসা দেয়, সেভাবেই ভালোবাসা দিয়েছেন। আমার জানা মতে, উনি আল্লাহ্ওয়ালা মানুষ ছিলেন। একজন সন্তান হিসেবে আমি আমার মায়ের জন্য যেভাবে দোয়া করি একইভাবে উনার জন্যও দোয়া করেছি। দোয়া করি আল্লাহ্র কাছে, আল্লাহ্ যাতে উনাকে বেহেস্তে নসিব করেন।”
এই সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শামীম ওসমান বলেন, “যে বয়সেই হোক না কেন এতিম হওয়া যে কত কষ্টের। সেটা আমি জানি। কারণ আমি নিজেও একজন এতিম। তাই আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাদেরকে কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা দেন।”
তিনি মমতাজ বেগমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শামীম ওসমানের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের জেলা সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত মো. শহীদ বাদল, মহানগর সাধারণ সম্পাদক খোকন সাহা, মহানগর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি চন্দন শীল, মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ্ নিজাম, মহানগর সাংগঠনিক সম্পাদক জাকিরুল আলম হেলাল প্রমুখ।
২০১৮ সালের ১৬ জানুয়ারিতে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কে হকার বসানো নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভী ও সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনার পর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়। একই অনুষ্ঠানে গেলেও তাদের কথা বলতে দেখা যায়নি।