যানজটে পড়ে মহাসড়কে চলাচলকারী যাত্রী ও চালকদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
১৯৯৮ সালে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে এই মহাসড়কে টাঙ্গাইল জেলাসহ প্রায় ২৬টি জেলার যানবাহন চলাচল শুরু হয়। যানবাহনের চাপ প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাওয়ায় মাহাসড়টি যানজটের সড়কে পরিণত হয়। যান চলাচল সাবলীল করতে জয়দেবপুর-চন্দ্রা-টাঙ্গাইল-এলেঙ্গা পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীত করার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে শুরু হয়ে এখন কাজ প্রায় শেষের দিকে।
কিন্তু এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্বপাড় পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার সড়ক এখনও দুই লেনেই রয়ে গেছে; যার ফলে চার লেনের গাড়ি যখন দুই লেনে প্রবেশ করে তখন গাড়ির গতি কমতে থাকে। ফলে এই এলাকায় যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়।
এছাড়াও এই দুই লেনের সড়ক ও সেতুর উপর মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটলে যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
রোববার সকালে ঢাকা থেকে কালিহাতী বাড়ির উদ্দেশে ভোর ৪টায় যাত্রা শুরু করে টাঙ্গাইল রাবনা বাইপাস এসে ৪০ মিনিট আটকে ছিলেন বলে জানান একরামুল হাসান।
‘প্রান্তিক পরিবহন’র চালক মনির হোসেন বলেন, “লকডাউনের পর থিকা আর গাড়ি চালাইয়া শান্তি পাইলাম না; টাঙ্গাইল থিকা এলেঙ্গা আইতেই ঘণ্টা লাইগা যায়। এক টিপ নিয়া গেলেই বেলা শেষ।”
পিক-আপ চালক আব্দুস সাত্তার বলেন, এই সড়কে চলাচলে তার অভিজ্ঞত হলো যানজট যেন নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। দিনের কোনো কোনো সময় যানজট হবেই। বিশেষ করে সকালের দিকে বেশি হয়।
এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইয়াসির আরাফাত বলেন, ঈদকে সামনে রেখে মহাসড়কে যানবাহনের প্রচুর চাপ রয়েছে। আবার কোথাও কোথাও গাড়ি বিকল হওয়ায় তা সরিয়ে নিতে কিছুটা সময় লাগছে। এতে করে অনেক স্থানে জটলার সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে হাইওয়ে ও জেলা পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে।
“তবে এই ধীরগতি থেকে যেন র্দীঘ যানজট না লাগে সে জন্য আমরা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে কাজ করে যাচ্ছি।”
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, যানজট নিরসনে পুলিশ সকাল থেকে রাত অবধি মহাসড়কে কাজ করে। আর ঈদ উপলক্ষে মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য রাতদিন অবিরত জেলা পুলিশ, ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে।