ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল আলম জানান, সেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মঙ্গলবার সকালে মেরামত শুরু হয়। এ কারণে সেতুর এক পাশ বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে এক পাশ দিয়ে সব গাড়ি দ্রুত চলতে পারছে না।
করোনাভাইরাস মহামারী ঠেকাতে লকডাউন থাকায় বাস বন্ধ রয়েছে। চলছে শুধু মালবাহী কন্টেইনার, কভার্ড ভ্যান, ট্রাক ও পিকআপ।
নরসিংদীর ইটাখোল হাইওয়ে থানার ওসি নূরুল হায়দার তালুকদার বলেন, “নরসিংদীর পুরিন্দা বাসস্ট্যান্ড থেকে মরজাল পর্যন্ত প্রায় ৩৪ কিলোমিটার আমার এলাকায় যানজট রয়েছে। আমরা জট নিরসনে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।”
খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মোহাম্মদ শাহজালাল আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থেকে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড পর্যন্ত প্রায় ৪০ কিলোমিটার সড়কের বেশির ভাগ এলাকায় যানজট রয়েছে।
যানজটে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আবুল কালাম নামে একজন ট্রাকচালক।
“অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে দুই ঘণ্টার পথ পাড়ি দিতে সময় লাগছে ১২-১৪ ঘণ্টা। গরমের মধ্যে দীর্ঘসময় যানজটে আটকে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি আমরা।”
ওসি শাহজালাল আলম জানান, মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত লাঙ্গলবন্ধ সেতুর এক পাশ দিয়ে যান চলেছে। তাছাড়া রাত ১০টার পর থেকে বুধবার ১২টা পর্যন্ত সেতুর ওপর দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ ছিল। এ অবস্থায় সড়ক বিভাগ থেকে বিকল্প পথ হিসেবে হালকা যানগুলোকে মোগড়াপাড়া-কাইকারটেক ব্রিজ, নবীগঞ্জ-মদনপুর সড়ক এবং ভারী যানগুলোকে কাঁচপুর-ভুলতা-নরসিংদী-ভৈরব ব্রিজ, সরাইল-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-কুমিল্লা সড়ক ব্যবহার করতে বলা হয়। এ কারণে ঢাকা-সিলেট ও কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে জট লাগে।
জট নিরসনে হাইওয়ে পুলিশ কাজ করছে বলে তিনি জানান।