উপজেলার কুসুমহাটি ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শাওন ইসলাম ওরফে বাদশা মণ্ডলের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উপজেলার ইউএনওর কাছে জমা পড়েছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, বাদশা কয়েক দিন ধরে প্রায় অর্ধশত মানুষের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
১ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শিলাকোঠা গ্রামের বিধবা জোসনা বেগম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমার ভাতার কার্ড কবে হয়েছে তা জানি না। বাদশা আমার ভাতার বইও আমাকে দেননি।
“হঠাৎ একদিন বাদশা আমাকে ফোন করে বলেন, ‘মোবাইল নিয়ে আমার কাছে আসো।’ আমি গেলে আমার মোবাইল নিয়ে তিনি কী জানি করেন। তারপর বলেন, আমার ভাতার টাকা এখনও আসেনি। আসবে। কিন্তু পরে অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্টের মাধ্যমে আমি জানতে পারি, আমার নগদ অ্যাকাউন্টে ভাতার তিন হাজার টাকা এসেছিল। কৌশলে বাদশা সে টাকা নিয়া গেছেন। এভাবে বাদশা অনেকের পুরো টাকা, কারও কারও অর্ধেক টাকা নিয়া গেছেন। আমি গরিব মানুষ। আমার স্বামী নাই। আমি আমার ভাতার টাকা ফেরত চাই। আর বাদশার উচিত বিচার চাই।”
বাদশা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “একটি কুচক্রী মহল আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমি কোনো ভাতার টাকা আত্মসাৎ করিনি। আমি কিছু মৃত ভাতাভোগীদের নাম কেটে নতুনদের নাম দিয়েছি। তাদের বলে দিয়েছি মৃত ব্যক্তিদের পরিবারকে কিছু টাকা দিয়ে সাহায্য করতে। এর বেশি কিছু নয়।”
বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়াম্যান আমজাদ হোসেন আজাদ অবগত রয়েছেন।
তিনি বলেন, “ভুক্তভোগীরা উপজেলার ইউএনও বরাবর এ মাসের প্রথম সপ্তাহে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি জেনে আমি বাদশা ও ভাতাভোগীদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিধবা ও প্রতিবন্ধীরা যাতে একটু ভাল থাকতে পারে সেজন্য সরকার তাদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করেছে। এ টাকা কেউ যদি আত্মসাৎ করে, তবে সে যে-ই হোক, তাকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না।”
লিখিত অভিযোগ পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন উপজেলার ইউএনও এএফএম ফিরোজ মাহমুদ নাঈম। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।