‘কঠোর’ লকডাউনে শিমুলিয়ায় ফেরিতে গাদাগাদি

কঠোরতার হুঁশিয়ারি দিয়ে শুরু হওয়া লকডাউনে নবম দিনে ফেরিতে গাদাগাদি-ঠাসাঠাসি করে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌপথে পদ্মা পাড়ি দিচ্ছে মানুষ।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 July 2021, 11:27 AM
Updated : 9 July 2021, 11:35 AM

গত ১ জুলাই থেকে কয়েক দিন ঘাট ছিল একেবারে ফাঁকা। যানবাহনের জন্য ফেরিগুলোকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার থেকে সেই চিত্র পাল্টাতে শুরু করে। আর শুক্রবার তা ভয়াবহ রূপ নেয়।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী বলেন, “গাড়ি ও যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় জট লেগে যাচ্ছে।”

তবু তাদের কিছু করার নেই বলে তিনি জানান।

“আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকেই বিষয়টি দেখতে হবে। আমরা লকডাউনে ফেরি সচল রেখেছি শুধু জরুরি পরিষেবার যান আর পণ্যবাহী গাড়ির জন্য। সেই সঙ্গে যদি যাত্রী বা ছোট গাড়ি ভিড় করে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদের বাধা দেওয়ার সুযোগও নেই,” বলেন ব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী।

শিমুলিয়ার পুলিশও এ ব্যাপারে কিছু করতে পারছে না।

লৌহজং থানার ওসি আলমগীর হোসাইন বলেন, “আমারা জেলার চেকপোস্টগুলোয় কঠোরভাবে লকডাউন বাস্তবায়নে চেষ্টা করছি। তার পরও মানুষ বিকল্প পথে শিমুলিয়া ঘাটে আসছে। আমারা চেকপোস্ট ভেঙে কাউকে ঢুকতে দিচ্ছি না। রাজধানী ঢাকা বা তার আশপাশ থেকে বের হওয়ার যে চেকপোস্টগুলো আছে  সেগুলোয় কঠোর হওয়া দরকার।
“তখন আর মানুষ ঘাটে আসতে পারবে না। যখন তারা ঘাটে এসে পড়ে তখন তাদের ফেরত পাঠানো সম্ভব হয় না।”

পদ্মায় প্রবল স্রোত থাকায় শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ঘাটে ১৬ ফেরির মধ্যে এখন চলতে পারছে ১০টি  আর পারাপারে সময় লাগছে আগের চেয়ে দেড় গুণ বেশি, জানিয়েছেন ব্যবস্থাপক আহম্মদ আলী।