গোপালগঞ্জে সাতজনের ডেল্টা ধরন শনাক্ত

গোপালগঞ্জে সাতজনের জনের শরীরে করোনাভাইরাসের ডেল্টা ধরন সংক্রমণ ধরা পড়েছে।

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 June 2021, 09:23 AM
Updated : 5 June 2021, 09:36 AM

আইইডিসিআরের বরাতে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ শনিবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।

এদিকে গোপালগঞ্জে কারোনাভাইরাস রোগী শনাক্তের হার বেড়ে যাওয়ায় সদর উপজেলার সাতপাড়, সাহাপুর ও বৌলতলী ইউনিয়নে ২৮ মে থেকে সাতদিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে প্রশাসন।

সিভিল সার্জন বলেন, ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট সন্দেহে গত ২৮ মে শুক্রবার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জিনোম সিকয়েন্সের জন্য ১১টি নমুনা আইইডিসিআরে পাঠায়। এর মধ্যে সাতজনের শরীরে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়।

গোপালগঞ্জ সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. এসএম সাকিবুর রহমান জানান, সদর উপজেলার বৌলতলী  ইউনিয়নের তেলিভিটা গ্রামের হলধর কীর্ত্তনীয়ার ছেলে বিভাষ কীর্ত্তনীয়া করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে গত ২১ মে  মারা যান। পরে ওই পরিবারের আরও তিনজন এ ভাইরাসে আক্রান্ত হন।

বিভাষের সংস্পর্শে আশা ওই গ্রামের ১৮৪ জনের দফায় দফায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে পরীক্ষা করে ৪৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়।

পরে জিনোম সিকোয়েন্সের মাধ্যমে ১১ জনের নমূনা আইইডিসিআরে পাঠানো হয়। এ মধ্যে সাতজনের দেহে করোনাভাইরাসের ভারতীয় ধরন শনাক্ত হয়েছে।

সাকিবুর বলেন, “বৌলতলী, সাহাপুর ও সাতপাড় ইউনিয়ন এলাকার মানুষ বৈধ ও অবৈধ পথে ভারত যাতায়াত করে। বৈধ পথে যাতায়াত কারীদের তথ্য আমাদের কাছে আছে।

“কিন্তু অবৈধ পথে যাতায়াতকারীদের তথ্য আমাদের কাছে নেই। অবৈধভাবে ভারতগামীরা সব সময় তথ্য গোপন করেন। এ কারণে আক্রান্তদের মধ্যে ভারতীয় ধরন থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছিল। সেই আশ্ঙ্কাই সত্য হয়েছে।”

সংক্রমণ প্রতিরোধে সাতপাড় ও বৌলতলী ইউনিয়নের সব হাট বাজার লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ওই এলাকার মানুষের নমুনা সংগ্রহ করে করোনাভাইরস পরীক্ষা অব্যাহত রাখা হয়েছে।

এ পর্যন্ত তেলিভিটা গ্রামসহ ওই তিন ইউনিয়নে মাত্র ৫০ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সাহাপুর ইউনিয়নে তেমন সংক্রমণ নেই। আক্রান্তরা বাড়িতেই হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন।

ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, এ পর্যন্ত গোপালগঞ্জে করোনাভাইরাসে ৩ হাজার ৯৪৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৪০ জনের।