মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিলেট পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন জানান, বুধবার দুপুরে আদালত পুলিশের কাছে তিনি এই অভিযোগপত্র জমা দেন।
গত বছর ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট শহরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
যে ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে তাদের পাঁচজনই পুলিশ সদস্য।
তাছাড়া আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে; যার বিরুদ্ধে ভিডিও ফুটেজ গায়েব করার অভিযোগ রয়েছে।
পাঁচ পুলিশ সদস্য কারাগারে থাকলেও নোমান এখনও পলাতক রয়েছেন।
আদালত পুলিশের পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “তদন্ত কর্মকর্তা এক হাজার ৯০০ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন দাখিল করেছেন। আদালত পুরোদমে চালু হলে উপস্থাপন করা হবে।”
এখন করোনাভাইরাস মহামারীতে ভার্চুয়াল আদালতে সীমিত কার্যক্রম চলছে।
পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রায়হানের মা সালমা বেগম।
তিনি বলেন, “কারা রায়হানকে পিঠিয়ে, নির্মমভাবে নির্যাতন করেছে তা স্পষ্ট। পুলিশ হেফাজতে এমন মৃত্যু কারও কাম্য নয়। এ ঘটনায় জড়িত সকল আসামির দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।”
আরও পড়ুন