মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতের বিচারক মো. আবুল কাশেম এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন এ মামলার তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সিলেটের বিশেষ পুলিশ সুপার খালেদ উজ জামান।
তিনি জানান, এসআই আকবরকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই সিলেটের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন। আদালত শুনানি শেষে সাত দিনেরই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
পরে তাকে কড়া নিরাপত্তায় জিজ্ঞাসাবাদের পিবিআই সিলেট কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।
গত সোমবার দুপুরে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ ইউনিয়নের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়া গ্রেপ্তারের কথা জানায় পুলিশ।
ওই দিন সন্ধ্যায় কানাইঘাট থেকে সিলেট পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। সন্ধ্যায় পুলিশ সুপার মো. ফরিদ উদ্দিন তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন, পুলিশের ‘কিছু ঘনিষ্ঠ বন্ধুর’ মাধ্যমে কানাইঘাট সীমান্ত এলাকা থেকে এসআই আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
রাত পৌনে ৮টার দিকে তাকে পিবিআইর কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে একই অভিযোগে বন্দর বাজার পুলিশ ফাঁড়ির আরেক পুলিশ সদস্য টিটু চন্দ্র দাশকে গ্রেপ্তার করার পর পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পিবিআই।
রায়হান হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে কনস্টেবল টিটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদকে দুই দফায় আট দিন করে এবং এএসআই আশেক এলাহীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়হান হত্যাকাণ্ডে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর, হাসান উদ্দিনসহ পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।
গত ১১ অক্টোবর ভোরে সিলেট নগরীর আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে এনে নির্যাতন করা হয়। পরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রায়হানের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।