শনিবার দুপুরে নিহত রায়হান আহমদের পরিবার ও বৃহত্তর আখালিয়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে রায়হানের মা বলেন, রায়হান হত্যার এক মাস পর পুলিশ মামলার প্রধান আসামি এসআই আকবর হোসেন ভুঁইয়াকে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া জড়িত আরো তিন পুলিশ সদস্যকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন মামলার তদন্ত সংস্থা পিবিআই যত দ্রুত অভিযোগপত্র দিলেই বিচার কাজ শুরু হবে।
ছেলেকে নির্মমভাবে নির্যাতনকারী সব পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন তিনি।
গত ১১ অক্টোবর ভোর রাতে নগরীর আখালিয়ার নেহারিপাড়ার যুবক রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন করা হয়। এরপর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী বাদী হয়ে ১২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন।
রায়হান হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত এসআই আকবরসহ চার পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে গত ১০ নভেম্বর আকবরকে সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
এছাড়া কনস্টেবল টিুটু চন্দ্র দাস, হারুনুর রশিদকে দুই দফায় আট দিন করে এবং এএসআই আশেক এলাহীকে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রায়হান হত্যাকাণ্ডে বন্দর বাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই আকবর, হাসান উদ্দিনসহ পাঁচ জনকে সাময়িক বরখাস্ত এবং তিনজনকে প্রত্যাহার করা হয়।