বুধবার রাতের বিভিন্ন সময় তাদের মৃত্যু হয়। এর মধ্যে আইসিইউতে একজন এবং করোনা ওয়ার্ডে চারজন মারা যান বলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান।
মৃতরা হলেন- আবুল হোসেন (৫০), মিলন (৬৬), আব্দুল কুদ্দুস (৭৩), আব্দুল মালেক (৬৮), শরিফুল ইসলাম (৭২)।
সাইফুল বলেন, “যে পাঁচজন মারা গেছে তাদের শ্বাসকষ্টসহ করোনাভাইরাসের সব উপসর্গ ছিল। তাদের নমুনা সংগ্রহ করার পর স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাদের দাফন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
এছাড়া করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ৪৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এদের মধ্যে আইসিইউতে রাখা হয়েছে আটজনকে। আর করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ৩৯ জন। তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানান এ চিকিৎসক।
এদিকে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ শুরু হয়েছে। বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছয়টি বুথে ভ্যাকসিন কার্যক্রম শুরু হয় বলে সাইফুল জানান।
তিনি বলেন, যারা মোবাইলে ম্যাসেজ পেয়েছেন তারাই ভ্যাকসিন দিতে পারছেন। দ্বিতীয় ডোজের প্রথম দিনে ভ্যাকসিন নিয়েছেন রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা ও স্ত্রী। দুপুর ১টা পর্যন্ত ৬২০ জন দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।
“বিভাগের মধ্যে রাজশাহী এখন করোনাভাইরাসের অন্যতম হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সচেতনতা বাড়িয়ে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করা না হলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হবে।”
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজশাহী বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. হাবিবুল আহসান জানান, রাজশাহী বিভাগের আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ২০১ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় ৪১ জন, নওগাঁয় ২ জন, নাটোরে ১৯ জন, জয়পুরহাট ৩ জন, বগুড়ায় ৯১ জন, সিরাজগঞ্জে ২৮ জন ও পাবনায় ১৭ জন রয়েছেন। এছাড়া বগুড়ায় একজন ও পাবনায় একজন করোনাভাইরাসে মারা গেছেন।