বন্দর থানার ওসি দীপকচন্দ্র সাহা জানান, মঙ্গলবার রাতে তাদের থানায় মামলাটি করেন বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদীবন্দরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক (নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক) বাবুলাল বৈদ্য।
রোববার সন্ধ্যার দিকে নারায়ণগঞ্জ শহরের বিআইডব্লিউটিএ টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী লঞ্চ এমএল সাবিত আল হাসানকে শহরের কয়লাঘাট এলাকায় কার্গো জাহাজ এসকেএল-৩ বেপরোয়াভাবে পেছন থেকে ধাক্কা দিলে ডুবে যায়। লঞ্চের অনেকে সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও নিখোঁজ থাকেন অনেকে। পরে ৩৪ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
ওসি দীপকচন্দ্র সাহা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তা। এতে হত্যার উদ্দেশ্যে বেপরোয়া গতিতে জাহাজ চালিয়ে হত্যা সংঘটিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত আসামিদের সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।
এদিকে গত তিন দিনেও জাহাজটি বা কাউকে আটক করতে পারেন পুলিশ। তবে শিগগিরই দোষীদের গ্রেপ্তার করা সম্ভব হবে বলে জানান ওসি।
মামলার বাদি বাবুলাল বৈদ্য বলেন, “পেনাল কোড ২৮০, ৩০৪, ৩৩৭, ৩৩৮, ৪২৭, ৪৩৭ ধারাসহ ইংল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ এর ৭০ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। হত্যার উদ্দেশ্যে এবং বেপরোয়া গতিতে নৌযান চালিয়ে ৩৪ জনকে হত্যা সংঘটিত করার অভিযোগ আনা হয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে কারও নাম বা সংখ্যা উল্লেখ করা হয়নি।”