শরীয়তপুরে বিচারকের অপসারণ দাবিতে আ.লীগের হরতাল

শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারকের অপসারণসহ একটি হত্যা মামলার রায় পুনর্বিবেচনার দাবিতে সদর উপজেলায় অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে জেলা আওয়ামী লীগ।

শরীয়তপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 22 March 2021, 07:50 AM
Updated : 22 March 2021, 09:12 AM

পালং থানার ওসি আসলাম উদ্দিন জানান, “শরীয়তপুর শহরে সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতাল হয়েছে। তবে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।”

দুই দশক আগে শরীয়তপুরে আওয়ামী লীগ নেতা হাবীবুর রহমান ও তার ভাই মনির হোসেনকে হত্যার ঘটনায় ছয়জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। শরীয়তপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. শওকত হোসাইন রোববার এই রায় ঘোষণা করেন।

এছাড়া মামলার জীবিত ৫২ আসমির মধ্যে তিনজনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। অপরাধে সংশ্লিষ্টতা প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে ৩৯ জনকে। আর শরীয়তপুরের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা কে এম হেমায়েত উল্লাহ আওরঙ্গসহ তিন আসামি বিচার চলাকালেই মারা যান।

সোমবার সকাল ৬টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত হরতালের সময় জেলা শহরের সব ব্যাংক-বিমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। শরীয়তপুর-মাদারীপুর মহাসড়কের আঙ্গারিয়া সেতু এলাকা, মনোহর বাজার মোড়, কোট এলাকা, শরীযতপুর সদর হাসপাতালের সামনে, পালং উত্তর বাজার,  শরীয়তপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে হরতাল বাস্তবায়ন করেন প্রতিবাদীরা।

মিছিলে ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অনল কুমার দে, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুহুন মাদবর, জেলা  ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ, কাউন্সিলর বিল্লাল খান, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম খানসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা।

এর আগে রোববার রাতে রায় প্রত্যাখান করে এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে সভায় হরতালের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, “মামলার ২০ বছর পর যা রায় হয়েছে তাতে আমাদের প্রত্যাশা পূরন হয়নি। যারা গুলি করে হত্যা করেছে আদালত তাদের খালাস দিয়েছে। তাই আমরা এ হরতাল পালন করছি। পরে আরও কর্মসূচি দেওয়া হবে।”

নিহতের ছেলে ও শরীয়তপুর পৌরসভার মেয়র পারভেজ রহমান জন বলেন, আমার পিতা ও চাচা হত্যা মামলার যারা প্রকৃত আসামী তাদেরকে বাদ দিয়ে প্রহসনের রায় ঘোষনা করা হয়েছে। আমরা এ রায় প্রত্যাখান করেছি। এর প্রতিবাদে অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছি।