কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবদুর রহিম সোমবার এ রায় ঘোষণা করেন।
তাছাড়া সাজাপ্রাপ্ত ১৫ আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত।
ফাঁসির আদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন জেলার কটিয়াদী উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের সাইফুল ইসলাম ও গোলাপ মিয়া।
এই দুইজন ও যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত ১১ আসামি রায় ঘোষণার সময় আদালতে ছিলেন।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- একই গ্রামের মো. সাইদুর, আব্দুল হামিদ, আব্দুর রহিম, বাদল মিয়া, মোস্তফা, রায়হান, হাবিব, ফারুক, জুলে বেগম, আনিছা বেগম ও হেনা বেগম।
যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামি মিজান মিয়া ও সুলতান মিয়া পলাতক রয়েছেন।
এছাড়া সোহেল নামে এক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায় তার বিচার চলছে শিশু আদালতে।
আসামিরা কয়েকজন নিহত তাজুল ইসলামের নিকটাত্মীয় আর কয়েকজন একই এলাকার বাসিন্দা।
আদালতের এপিপি যজ্ঞেশ্বের রায় চৌধুরী মামলার নথির বরাতে জানান, নোয়াগাঁও গ্রামের কৃষক তাজুল ইসলামের সঙ্গে তার নিকটাত্মীয় ও এলাকার কয়েকজনের জমির বিরোধ ছিল। এর জেরে ২০১১ সালের ১ জানুয়ারি হামলা চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত তাজুলের মেয়ে মালা বেগম ১৬ জনের বিরুদ্ধে কটিয়াদী থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছর ১৯ মে অভিযোগপত্র দেয় আদালতে।
এপিপি যজ্ঞেশ্বের বলেন, বিচার শেষে আদালত ১৫ আসামিকে দোষৗ সাব্যস্ত করে। অন্য একজনের বিচার চলছে শিশু আদালতে। পলাতক দুইজন ধরা পড়লে সেদিন থেকে তারা সাজা শুরু হবে।
আসামিপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী অশোক সরকার।