সাক্ষর সাহা নামে এই শিক্ষার্থীর হৃদরোগে মৃত্যু হতে পারে বলে ধারণা করছেন উপাচার্য রফিকুল ইসলাম শেখ।
সাক্ষর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৫তম ব্যাচের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুর।
উপাচার্য বলেন, রোববার বেলা ১২টার দিকে খবর পেয়ে তারা চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন নিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন।
“হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।”
সাক্ষর মতিহার থানা এলাকায় একটি বেসরকারি লোটাস ছাত্রাবাসে থাকতেন। সেখান থেকেই তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
মতিহার থানার ওসি এএসএম সিদ্দিকুর রহমান প্রাথমিক তদন্তের তথ্যে বলেন, শনিবার রাতে সাক্ষর সাভাবিক নিয়মে তার রুমে ঘুমিয়ে পড়েন। রোববার দুপুর পর্যন্ত সাড়া না পেয়ে অন্য ছাত্ররা তার খোঁজ নিতে যান। তারা তাকে রুমে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পুলিশ মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখছে বলে তিনি জানান।
পরিবারের সদস্যদের খবর দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা আসলে ময়নাতদন্ত করে পরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপাচার্য বলেন, সাক্ষর মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলে। চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। তাছাড়া ঢাকায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন সাক্ষর।
সাক্ষরের বন্ধু সোহেল রানা বলেন, তিনি পাশের ছাত্রাবাসে থাকেন।
“রাত সাড়ে ৩টার দিকে সাক্ষর ঘুমাতে গিয়েছিল। বেলা ১১টার দিকেও না ওঠায় ছাত্রাবাসের অন্য শিক্ষার্থীরা তাকে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে তারা দরজার ওপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে লাঠি ঢুকিয়ে দরজা খোলে।
“ভেতরে ঢুকে সাক্ষরকে তারা অচেতন অবস্থায় পেয়ে রুয়েটের অ্যাম্বুলেন্সে করে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক সাইফুল ফেরদৌস বলেন, হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হাসপাতালে নেওয়ার অনেক আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।