বুধবার রাতে উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামের দিঘলটারী চেয়ারম্যানপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।
এই সময় অগ্নিদগ্ধ হয়ে একটি গরুর বাছুর, অর্ধশত কবুতর ও দেড়শতাধিক হাঁস-মুরগি মারা যায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গ্রামের নারায়ণ চন্দ্র রায়ের বাড়ির রান্না ঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে আগুন দ্রুত চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে।
“১৯টি পরিবারের ৩০ থেকে ৩২টি ঘরসহ আসবাবপত্র পুড়ে যাওয়ার তালিকা পেয়েছি। তবে ঘরের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। ক্ষয়ক্ষতির নির্ণয়ের কাজ চলছে।”
শিমুলবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হামিদুল হক বলেন, অন্তত ৬০টি ঘরসহ আসবাবপত্র, ধান-চাল, পেঁয়াজ, আলু, নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামার পুড়ে যায়। এছাড়া একটি গরুর বাছুর, অর্ধশত কবুতর, দেড় শতাধিক হাঁস-মুরগি পুড়েছে।
জলঢাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহবুব হাসান জানান, খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিবারগুলোর মাঝে জামাকাপড়, কম্বল এবং শুকনো খাবার সরবরাহ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রনয়নের কাজ শুরু হয়েছে। তালিকা প্রণয়ন শেষ হলে তাদের মাঝে সরকারি সহায়তা প্রদান করা হবে।
অপরদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন ও জেলা পরিষদ সদস্য আলী হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে প্রত্যেক পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল, তিন কেজি আলু, এক কেজি করে ডাল, লবণ, চিনিসহ খাদ্য সামগ্রী সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানান।