বর্ষা মৌসুমে তীব্র স্রোতে বাঁধের ‘নিচের অংশের বালু সরে গিয়ে’ এমনটা হতে পারে বলে মনে করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় বাসিন্দা নীরব গোলজার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, শনিবার রাত থেকে সুরেশ্বর দরবার শরীফ এলাকায় ‘৬০ মিটার’ বেড়িবাঁধে ধস এবং বাঁধের বিভিন্ন স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে।
“এই ধসের কারণে সুরেশ্বর দরবার শরীফসহ প্রায় শতাধিক পরিবার হুমকির মধ্যে রয়েছে। শুরেশ্বর, কেদারপুর, পাচগাও, ইছাপাশা, চন্ডিপুর, মুলফৎগঞ্জ, সাধুর বাজারসহ কয়েকটি এলাকার মানুষ আতংকিত হয়ে পড়েছে।”
গত দুইদিনে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি বলে তিনি অভিযোগ করেন।
তবে শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের ভাষ্য গত বর্ষা মৌসুমে ভাঙা অংশেই ফের ‘৪০ মিটার’ ভেঙেছে।
শরীয়তপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, এবছর বর্যায় নদীর তীব্র স্রোতে বেড়িবাঁধের ওই অংশ ভেঙেছিল। তাৎক্ষণিকভাবে ভাঙন রোধে নদীতে এক লাখ ৫৫ হাজার জিও ব্যাগ ও আট শতাধিক জিও টিউব ডাম্পিং করা হয়েছিল।
তিনি আরও জানান, আগের ভাঙনের পর ৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে সাড়ে আটশত মিটার বাঁধের টেন্ডার আহবান করা হয়েছিল। সেই টেন্ডার মূল্যায়ন পর্যায়ে রয়েছে। ঠিকাদার নিয়োগ করা হলেই আগামী মাস থেকে পুরো বাঁধের সংস্কার কাজ শুরু হবে।
প্রকৌশলী এস এম আহসান হাবিব জানান, সুরেশ্বর দরবার শরীফ রক্ষায় ২০১১-১২ অর্থবছরে ২৩ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে নয়শ মিটারের এই বাঁধ নির্মাণ করেছিল পানি উন্নয়ন বোর্ড।
স্থানীয় ফজলুল হক বেপারী বলেন, “৬০ থেকে ৭০ মিটার বেড়িবাঁধের জায়গা দেবে গেছে। দেবে যওয়ার কারণে আমাদের বাড়িঘর ভাঙনের মুখে পড়েছে। সরকার ব্যবস্থা না নিলে আমরা সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ব।”
স্থানীয় আবদুল রাজ্জাক মীর মালত বলেন, “শনিবার রাত থেকে আধা কিলেঅমিটার এলাকা জুড়ে বাঁধে ধস নেমেছে। বাকি বাঁধে ফাটল দেখা দিয়েছে। আমরা গ্রামবাসী আতংকের মধ্যে আছি।”
স্থানীয় পারুল বেগম বলেন, “বাঁধ ভাঙার কারণে গতকাল আমরা সারারাত ঘুমাতে পারিনি।”