এর মধ্যে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথে পারাপার বন্ধ আছে রোববার রাত ১২টা থেকে। আর রাত ২টা থেকে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে।
কুয়াশা না কাটায় সোমবার সকালেও কোনো রুটে ফেরি চলাচল শুরু করা যায়নি। ফলে নদীর চার ঘাটে কয়েকশ যানবাহন যাত্রী নিয়ে পারাপারের অপেক্ষায় আছে।
বেলা বাড়ার পর কুয়াশা কেটে গেলে আবার ফেরিতে যানবাহন পারাপার শুরু করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
একই কারণে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌ রুটেও রাত ২টার দিকে ফেরি পারাপার বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে আইডব্লিউটিসির ম্যানেজার প্রফুল্ল চৌহান জানান।
তিনি বলেন, সহস্রাধিক যাত্রী ও যানবাহন নিয়ে সাতটি ফেরি মাঝ নদীতে আটকা পড়ে আছে। দুই পাড়ে পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে ৫ শতাধিক যান। ক্রমেই যানবাহনের লাইন দীর্ঘ হচ্ছে। ফলে মানুষকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এই রুটে যে ১৪টি ফেরি চলাচল করে, তার মধ্যে কেবল বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর ফেরিতে ফগ লাইট রয়েছে। তাও মান সম্মত না হওয়ায় ঘন কুয়াশায় চলাচলের উপযোগী নয়।
দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলের ২১ জেলার সঙ্গে রাজধানীর সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এ দুই নৌপথে প্রতি শীত মৌসুমেই কুয়াশার কারণে পারাপার বিঘ্নিত হয়।
এতে একদিকে ঠাণ্ডায় নদীতে আটকে থেকে যাত্রীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়, অন্যদিকে ঘাটে জট সৃষ্টি হয় বলে পণ্য পরিবহন বিলম্বিত হয়।