রোববার সকাল ১১টা থেকে ঘণ্টাব্যাপী শহরের মোক্তারপাড়ার সড়কে এ মানববন্ধন করেন তারা।
এ সময় সমাবেশে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মারুফ হাসান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভেঙে ফেলার হুমকি দেওয়ার মতো ধৃষ্টতা যে মৌলবাদীরা দেখিয়েছে, তাদের বাংলার মাটিতে ঠাই হবে না।
“কোনো অবস্থাতেই দেশকে পাকিস্তান, আফগানিস্তানে পরিণত করতে দেওয়া হবে না।”
সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পাকিস্তানের এ প্রেতাত্মাদের প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
গত ১৩ নভেম্বর ঢাকার গেণ্ডারিয়ার ধূপখোলার মাঠে ‘তৌহিদী জনতা ঐক্য পরিষদের’ ব্যানারে এক সমাবেশ থেকে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করা হয়।
একই দিনে রাজধানীর বিএমএ অডিটোরিয়ামে এক ‘শানে রিসালাত’ কনফারেন্সে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব ও বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মামুনুল হকও প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য স্থাপনের বিরোধিতা করেন।
এ হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ১৫ নভেম্বর চট্টগ্রামে এক অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছিলেন,“বেশি বাড়াবাড়ি করলে ঘাড় মটকাতে সময় লাগবে না।”
এরপর চট্টগ্রামের হাটহাজারীর পার্বতী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আল আমিন সংস্থা আয়োজিত তিন দিনের তাফসীরুল কুরআন মাহফিলে হেফাজত ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের অংশগ্রহণ ঠেকানোর কর্মসূচি নেয় যুবলীগ-ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগসহ বিভিন্ন সংগঠন।
সেই মাহফিলের সমাপনী দিনে গত শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরীও ভাস্কর্য বসালে তা ‘টেনে হিঁচড়ে ফেলে দেওয়ার’ হুমকি দেন।
নেত্রকোণায় এর প্রতিবাদে করা মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান লিপু, সাইফুল্লাহ এমরানসহ অন্যরা।