বুধবার নওগাঁয় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে আমন সংগ্রহ ২০২০-২১ উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন।
একই দিন বগুড়ায় এক সভায় চালকল মালিকরা সরকারের নির্ধারিত মূল্যে চাল সরবরাহ করলে লোকসানে পড়বেন বলে জানিয়েছেন এবং এই মূল্যে চাল সরবরাহ করা সম্ভব নয় বলেও জানান তারা।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, মিলাররা ধান-চাল সংগ্রহে সহযোগিতা না করলে আগামীতে ভারতীয় সংগ্রহ নীতিমালা অনুযায়ী ধান-চাল সংগ্রহ করা হবে যেখানে প্রতিটি মিলের জন্য চাল সরবরাহের পরিমাণ উল্লেখ করে দেওয়া হবে, যা ওইসব মিলকে বাধ্যতামূলকভাবে সরবরাহ করতে হবে।
সরকার রেশন ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি এবং দুর্যোগ সময়ের জন্য খাদ্য সংগ্রহ করে এবং কৃষকরা যেন ধানের নায্য মূল্য পায় সরকার সেই চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেন মন্ত্রী।
“যেসব মিলারদের লাইসেন্স নাই তারাও ধান কিনে মজুদ করে রেখে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে। আমরা কৃত্রিম সংকট তৈরিকে বরদাস্ত করব না। এই অপকৌশলে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মন্ত্রী বলেন, সারাদেশে প্রতি বছর সরকার আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে থাকে। গত ৭ নভেম্বর আমন সংগ্রহের উদ্বোধন করা হয়, ১৫ নভেম্বর চুক্তির শেষ সময় হয়। তবে পরে মিল মালিকদের অনুরোধে ২৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়।
এবছর সরকার চাল ৩৭ টাকা ও ধান ২৬ টাকা কেজি দরে কিনবে বলে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে।
চালকল মালিকদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, কোনো মিল মালিকের ধান উৎপাদনের ব্যবস্থা নাই। যে ধান ক্রয় করে আপনারা সারা বছর মিল চালান তা সরকারের ভর্তুকি দেওয়া। সরকার সার ও সেচে ভর্তুকি দিয়েছে। সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিয়ে ঋণ করে চালকল চালু করেছেন। সরকারের কাছ থেকে যেহেতু সুবিধা নিয়েছেন চাল দিয়ে সরকারকে সহযোগিতা করেন।
বোরোতে যারা সরকারকে চাল দিয়ে সহযোগিতা করছেন মন্ত্রী তাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
নওগাঁ জেলা প্রশাসক হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় হয়।
এতে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানম, মহাপরিচালক সারোয়ার মাহমুদ, পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান মিয়া, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জিএম ফারুক হোসেন পাটওয়ারী, জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন চকদার, নওগাঁ ধান-চাল আড়তদার সমিতির সভাপতি নিরোদ বরণ সাহা চন্দনসহ রাজশাহী ও রংপুর বিভাগীয় কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।