বুধবার বগুড়ায় একটি হোটেলে সাংবাদ সম্মেলনে ‘বাংলাদেশ অটো, মেজর এন্ড হাসকিং মিল মালিক সমিতির’ কেন্দ্রীয় কমিটির পক্ষে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সমিতির সাধারণ সম্পাদক কে এম লায়েক আলী বলেন, “সরকারকে চাল দিতে চাই। লাভের প্রয়োজন নেই। গত বছর লোকসান করেছি। এবার লোকসান দিয়ে সরকারের বেঁধে দেওয়া মূল্যে চাল দিতে পারব না।”
এবছর সরকার চাল ৩৭ টাকা ও ধান ২৬ টাকা কেজি দরে কিনবে বলে দর নির্ধারণ করে দিয়েছে।
লায়েক আলী সরকারের উদ্দেশে বলেন, “সরকার ৪ শতাংশ চাল আমদানি করে, আর ৯৬ শতাংশ চাল মিল মালিকরা দেয়। ধান কিন্তু খেতে পারবে না, চাল খেতে হবে। কতদিন চাল আমদানি করবেন?”
বাংলাদেশে ১৮ হাজার চাল কল রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “করোনার সময় সব মিল কারখানা বন্ধ থাকলেও এক ঘণ্টার জন্যও চাল কল বন্ধ থাকেনি। জনস্বার্থে কাজ করেছি।”
তিনি অভিযোগ করেন, “সরকার বিভিন্ন খাতে প্রণোদনা দিলেও আমরা খাদ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ হাজার টাকা প্রণোদনা চাইলেও দেওয়া হয়নি। অথচ আমাদের বলা হয় সিন্ডিগেট, মুনাফা খোর।”
সরকারের সাথে চুক্তির কোনো সমসীমা রাখা যাবে না; যখন চুক্তি হবে তখনই মিলাররা চাল দেবে, বলেন লায়েক আলী।
সরকারের মজুদ এবং চাল সেক্টরকে বাঁচানোর জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে বলে তিনি মনে করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আব্দুর রশীদসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকরাও উপস্থিত ছিলেন।