শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা: সাতক্ষীরায় ৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলার মামলায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ওই সময়ের সভাপতিসহ পাঁচ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে।

সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম হুমায়ুন কবির রোববার দুপুরে তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন।

এরা হলেন ফাতেমা জাহান সাথী, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শরীফুল হক রাসেল, সৈনিক লীগ নেতা সরদার মুজিবুর ও ক্যামেরাম্যান শহীদুল ইসলাম জীবন।

জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল লতিফ বলেন, রোববার মামলার ১১শ থেকে ১৫তম সাক্ষীকে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে উপস্থাপন করেছে এবং তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

“অন্যান্য দিনের মত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আজকেও সাক্ষীকে জেরা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।”

মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০০২ সালের ৩০ অগাস্ট তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার এক নারীকে দেখতে আসেন। তিনি ঢাকা ফেরার পথে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কলারোয়া বিএনপি অফিসের সামনে তার গাড়িবহরে হামলা হয়।

এই ঘটনায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোসলেম উদ্দীন বাদী হয়ে উপজেলা যুবদলের সভাপতি আশরাফ হোসেনসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৭০/৭৫ জনের নামে আদালতে মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে এক যুগ পর ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর কলারোয়া থানায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়।

২০১৫ সালের ১৭ মে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাতক্ষীরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে ৩০ জনকে সাক্ষী করে সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শেখ সফিকুর ইসলাম। 

সাতক্ষীরা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের পর ২০১৭ সালের ২১ সেপ্টেম্বর আসামিপক্ষের আবেদনে মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে হাই কোর্ট।

এরপর রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাই কোর্ড চলতি বছরের ২২ অক্টোবর মামলাটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে নথি পাওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে মামলাটি নিষ্পত্তি করতে নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেয়।