শনিবার সন্ধ্যায় দামুড়হুদা উপজেলার উজিরপুর গ্রামের এক মাদ্রাসার কাছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীর থেকে কঙ্কালটি উদ্ধার করা হয়।
কঙ্কালের সঙ্গে পাওয়া জামাকাপড়ের ছবি দেখে রাতে স্বজনরা ওই কিশোরীকে নিখোঁজ মিম খাতুন (১৯) হিসেবে শনাক্ত করেন বলে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আব্দুল খালেক জানান।
মিম কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার পিপুলবাড়িয়া গ্রামের মধু খানের মেয়ে। কুষ্টিয়ার আমলা সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি।
দামুড়হুদার ওসি খালেক জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে উজিরপুর গ্রামের মাদ্রাসার কাছে মাথাভাঙ্গা নদীর তীরে মানুষের মাথার খুলি ও হাড়গোড় দেখতে পান কয়েকজন শিক্ষার্থী।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ। কঙ্কালের সাথে জামাকাপড়, ভ্যানিটি ভ্যাগ এবং জুতাও পাওয়া যায়।
পরে পুলিশ জামাকাপড়ের ছবি তুলে ওই নিখোঁজ ছাত্রীর স্বজনদের কাছে পাঠায়। ছবি দেখে তারা সেগুলো মিমের বলে জানান। রোববার দুপুরে তারা কুষ্টিয়া থেকে দামুড়হুদা থানায় পৌঁছান।
স্বজনদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, তিন মাস আগে মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামে নানাবাড়িতে যাওয়ার জন্য বেরিয়েছিলেন মিম। এর পর থেকে তার খোঁজ মিলছিল না।
উদ্ধার করা কঙ্কাল ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।