পদ্মাসেতুর ৩৬তম স্প্যান কারিগরি কারণে বসাতে পারেনি

পদ্মা সেতুর ৩৬তম স্প্যান খুঁটির ওপর বসানোর জন্য নিয়ে গেলেও কারিগরি কারণে বসাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 Nov 2020, 09:45 AM
Updated : 5 Nov 2020, 10:48 AM

তবে শুক্রবার সকালে স্প্যানটি বসানো সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী।

পদ্মা সেতু সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল প্রকৌশলীরা জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩ নম্বর খুঁটির ওপর ১-বি নামের ৩৬তম স্প্যানটি শুক্রবার সকালে স্থাপন করা হবে।

ছয় দশমিক ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দ্বিতল পদ্মাসেতুতে ৪২টি খুঁটি নির্মাণ করা হয়েছে; এরমধ্যে মাওয়া প্রান্তে ২১টি এবং জাজিরা প্রান্তে ২১টি। এ ৪২টি খুঁটির ওপর ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ চলছে।

পদ্মাসেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) দেওয়ান মো. আব্দুল কাদের জানান, বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে ‘তিয়ান ই’ নামের ভাসমান জাহাজটি ১-বি নামের স্প্যানটি নিয়ে নির্দিষ্ট খুঁটির উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়।

দুই ঘণ্টা পর দুপুর সাড়ে ১২টায় স্প্যানটি খুঁটির কাছে পৌঁছায়।

এটি খুঁটিতে বসানোর জন্য উপরে তোলা হয়েছিল জানিয়ে তিনি বলেন, কিছু টেকনিক্যাল কারণে এটি বৃহস্পতিবার স্থাপন সম্ভব হয়নি।

৩৬তম স্প্যানটি বসানো হলে পদ্মা সেতুর ৫৪০০ কিলোমিটার দৃশ্যমান হবে।

আব্দুল কাদের আরো জানান, অক্টোবর মাসে চারটি স্প্যান বসানো হয়েছে। নভেম্বরেও চারটি স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। শেষ দুইটি স্প্যান বসবে ডিসেম্বরে।

“আগামী ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে সব স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”

৩৬তম স্প্যান বসানোর পর বাকি পাঁচটি স্প্যানের মধ্যে ১১ নভেম্বর ৯ ও ১০ নম্বর খুঁটিতে ৩৭তম স্প্যান (স্প্যান ২-সি), ১৬ নভেম্বর ১ ও ২ নম্বর খুঁটিতে ৩৮তম স্প্যান (স্প্যান ১-এ), ২৩ নভেম্বর ১০ ও ১১ নম্বর খুঁটিতে ৩৯তম স্প্যান (স্প্যান ২-ডি), ২ ডিসেম্বর ১১ ও ১২ নম্বর খুঁটিতে ৪০তম স্প্যান (স্প্যান ২-ই) এবং ১০ ডিসেম্বর সর্বশেষ ৪১তম স্প্যান (স্প্যান ২-এফ) ১২ ও ১৩ নম্বর খুঁটির ওপর বসার কথা রয়েছে।

২০১৪ সালের ডিসেম্বরে পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর ২০২১ সালেই খুলে দেওয়া হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।