কোভিড-১৯: দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য ‘প্রস্তুত’ ফরিদপুর মেডিকেল

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় প্রস্ততি সম্পন্ন করেছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

শেখ মফিজুর রহমান শিপন ফরিদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 3 Nov 2020, 12:38 PM
Updated : 3 Nov 2020, 12:38 PM

করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর দিকে এই হাসাপাতলের পুরাতন ভবনটিকে করোনা ডেডিকেটেড হিসাবে ঘোষণা করে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। সেখানে আইসোলেশন ওয়ার্ডে একশ বেডে কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ছিদ্দীকুর রহমান বলেন, করোনাভাইরাসের প্রথম ধাপে ফরিদপুর জেলায় ৯৪ জনের মৃত্যু হয়, আক্রান্ত হয় সাড়ে সাত হাজার মানুষ। বর্তমানে কোয়ারেন্টিনে রয়েছে দুই সাতশরও বেশি।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, “অবস্থায় বিবেচনায় সম্ভাব্য করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়েছি আমরা।”

তিনি জানান, ১৬ শয্যার আইসিইউ বেড, একশ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড, চার শতাধিক অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ফ্লো মিটার, মাস্ক-পিপিইসহ পর্যাপ্ত সুরক্ষা সামগ্রী মজুত রয়েছে তাদের।

এছাড়াও জরুরি অবস্থা মোকাবেলায় ১৫টি হাইফ্লো নোজাল ক্যানেলা ও প্রয়োজনীয় পর্যাপ্ত ওষুধ মজুত আছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

চিকিৎসক সংকটের কথা স্বীকার করে পরিচালক সাইফুল আরও বলেন, করোনার প্রাদূর্ভাব বাড়লে সিভিল সার্জনের সঙ্গে সমম্বয় করে সংকট মোকাবেলা করা হবে।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনাভাইরাস মহামারী শুরু থেকে এই পর্যন্ত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে করোনা শনাক্তকরণ ল্যাবে বৃহত্তর ফরিদপুরের পাঁচ জেলাসহ আশপাশের জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে; এর বিপরীতে করোনাভাইরাস শনাক্ত রয়েছে ২২ হাজার তিনশ জন।

ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার জানান, জেলা প্রশাসন ও জেলা স্বাস্থ্য বিভাগে সঙ্গে সমম্বয় করে তারা দ্বিতীয় দফার করোনাভাইরাস মোকাবেলার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। জেলার নয় উপজেলা হাসপাতালগুলোকে সক্রিয় করার জন্য বলা হয়েছে।