নিহতের নাম অরুণ রায় (৭২)। ২০০৮ সালে তিনি খুলনার বটিয়াঘাটা ডিগ্রি কলেজ থেকে অবসরে যান তিনি।
তার স্ত্রী নিভা রাণী পাঠক মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর খুলনা অঞ্চলের উপ-পরিচালক।
শুক্রবার রাতে সদর উপজেলার তুলারামপুর ইউনিয়নের ব্যানাহাটি গ্রামে নিজ বাড়িতে অরুণ রায়ের গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়।
তুলারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বুলবুল আহম্মেদ জানান, অরুণ রায় ব্যানাহাটি গ্রামে একা থাকতেন। তার স্ত্রী, প্রকৌশলী ছেলে ও চিকিৎসক মেয়ে চাকরির সুবাদে জেলার বাইরে অবস্থান করতেন। তারা মাঝে মাঝে ছুটিতে বাড়ি আসতেন।
তিনি বলেন, “শুক্রবার সন্ধ্যার পর স্ত্রী নিভা রাণী ও তার ছেলে ইন্দ্রজিৎ রায় বাড়িতে এসে মই বেয়ে দ্বিতল ভবনের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে চেয়ারের ওপর গলা কাটা অবস্থায় অরুণ রায়ের লাশ উদ্ধার করেন।”
নিভা রাণী পাঠক জানান, করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার পর থেকে তার স্বামী গ্রামের বাড়িতে একাই থাকতেন। চাকরির সুবাদে তিনি খুলনা থাকেন। দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুক্রবার সন্ধ্যায় ছেলে, পুত্রবধূসহ গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।
বাড়িতে এসে অনেক ডাকাডাকির পরও কোনো সাড়া না পেয়ে মই বেয়ে দ্বিতল ভবনের ছাদ দিয়ে ভেতরে ঢোকেন ইন্দ্রজিৎ।
নিভা রাণী জানান, ঘরে ঢোকার মূল ফটক তালাবদ্ধ ছিল। তবে ছাদ দিয়ে ঘরে ঢোকার জায়গা খোলা ছিল। এছাড়া ঘরের পেছনের প্রবেশপথও খোলা ছিল।
ঘর থেকে কোন কিছু খোয়া গেছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, তা দেখা হচ্ছে।
খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নড়াইল সদর থানার ওসি ইলিয়াছ হোসেন বলেন, নিহতের গলায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নড়াইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ ইমরান জানান, বৃহস্পতিবার রাতের কোনো সময় অরুণ রায় হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে মনে হচ্ছে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বলে জানান তিনি। তবে তাদের পরিচয় জানাননি।