গ্রেপ্তার অর্জুন লস্কর ছাত্রলীগ কর্মী বলে জানা গেছে।
এর আগে সুনামগঞ্জের ছাতক থেকে মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে বলে জানিয়েছেন শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম।
ওসি জানান, ঘটনার পর থেকেই আসামিদের গ্রেপ্তারে কাজ করে যাচ্ছিল পুলিশ।
“রোববার ভোররাতে ছাতক থানা পুলিশের একটি বিশেষ দল সাইফুরকে গ্রেপ্তার করে। এছাড়া হবিগঞ্জের মনতলা থেকে অর্জুন লস্করকে গ্রেপ্তার করা হয়।”
বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান তিনি।
হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর থানার ওসি ইকবাল হোসেন জানান, রোববার ভোরে সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাধবপুর উপজেলার মনতলা ইউনিয়নের সীমান্তঘেঁষা দুর্বলপুর গ্রাম থেকে অর্জুনকে আটক করেছে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি মনতলা সীমান্ত দিয়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন বলেন তিনি।
ইতোমধ্যে ছাতক থানা পুলিশ ও সিলেট জেলা গোয়েন্দা পুলিশ আসামী সাইফুল এবং অর্জুনকে মহানগর পুলিশের শাহপরাণ থানায় হস্তান্তর করেছে।
তাদের জিজ্ঞাসাবদ চলছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানান ওসি আব্দুল কাইয়ুম।
শনিবার সকালে ধর্ষণের শিকার ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে শাহপরাণ থানায় ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামী করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর ও বহিরাগত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল এবং তারেক আহমদ।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই তরুণীকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জ্যোতির্ময় সরকার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ওই নববধূ তার স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে আসেন। এক পর্যায়ে তার স্বামী সিগারেট খাওয়ার জন্য কলেজের গেইটের বাইরে বের হন।
“এসময় ৬ থেকে ৭ জন যুবক ওই তরুণীকে জোরপূর্বক এমসি কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।”
এ সময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করা হয় বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
খবর পেয়ে পুলিশ রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই তরুণীকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করেছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তরুণীর শারিরিক অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছেন হাসাপাতালে উপ-পরিচালক ডা. হিমাংশু লাল রায়।
তিনি বলেন, গাইনি বিভাগের একজন অধ্যাপকের তত্ত্বাবধানে এ গৃহবধূর চিকিৎসা চলছে। তিনি শারিরিকভাবে অনেকটা সুস্থ রয়েছেন।