তবে শুক্রবার দুপুরের পর থেকে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি চলাচলের সম্ভাবনা রয়েছে বলে বিআইডব্লিউটিসির জিএম মো. আশিকুজ্জামান জানিয়েছেন।
পদ্মার চ্যানেলে নাব্য সঙ্কটে গত ২৯ অগাস্ট থেকে দিনে সীমিত আকারে ফেরি চললেও রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ ছিল। পরে ৩ সেপ্টেম্বর থেকে এই রুটের পুরো ফরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে যায়।
আশিকুজ্জামান বলেন, “লৌহজং টার্নিংয়ের চ্যানেলে নাব্যতা ফেরাতে গত কয়েক দিনে কোটি টাকার তেল পোড়াতে হয়েছে। তবে নাব্যতা ধরে রাখতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অনবরত ড্রেজিং চলমান রাখতে হবে। শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএ ও বিআইডব্লিউটিসি যৌথভাবে লৌহজং টার্নিংয়ের চ্যানেলটি সার্ভে করবে। এরপর চ্যানেলটি চলাচল উপযোগী হলে দুপুর ২টা থেকে পরীক্ষামূলকভাবে সীমিত আকারে ফেরি চালু করা হবে। এরপর পরিস্থিতি অনুযায়ী পুরোদমে ফেরি চলাচল শুরু হবে।”
আশিকুজ্জামান বলেন, শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি ফেরি বহরের ১৭টি ফেরির মধ্যে এখন ১৩টি রয়েছে। এর মধ্যে ২টি রো রো, ৬টি ডাম্প ফেরি, ৩টি কে-টাইপ ফেরি ও ২টি মিডিয়াম ফেরি রয়েছে। তবে চ্যানেল সচল হলে পাটুরিয়ায় পাঠানো ২টি রোরো ফেরি ‘শাহপরান’ ও ‘এনায়েতপুরী’ শিমুলিয়ায় নিয়ে আনা হবে। এছাড়াও পরিস্থিতি অনুযায়ী আরও ২টি কে-টাইপ ফেরিও ফিরিয়ে আনা হবে।
বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ছাইদুর রহমান জানান, এ পর্যন্ত ৭ লাখের বেশি ঘন মিটার পলি অপসারণ করা হযেছে; এরপরও ফেরি সচল করা যায়নি। লৌহজং টার্নিং চ্যানেলে ৫ এবং পদ্মা সেতু এলাকায় ২টি বিআইডব্লিউটিএ’র এবং পদ্মা সেতুর ১টি ড্রেজার দিয়ে পলি অপসারণের কাজ চলছে।
সব কিছৃ ঠিক থাকলে শুক্রবার দুপুরে ফেরি চলাচল শুরু হতে পারে বলে জানান ছাইদুর।