তিতাসের জিএম (পরিকল্পনা) আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার বলেন, মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশের পুরো সড়ক খুঁড়ে তারা এসব ছিদ্র পেয়েছেন।
গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়। তাদের মধ্যে এক শিশু ও ওই মসজিদের ইমামসহ অন্তত ২৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরও নয়জন আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের বার্ন ইউনিটে চিকিসাধীন রয়েছেন।
তিতাসের কমিটির প্রধান আব্দুল ওয়াহাব তালুকদার সাংবাদিকদের বলেন, “মসজিদের পূর্ব ও উত্তর পাশে পুরো সড়ক খুঁড়ে তিতাসের সব লাইন বের করা হয়। পূর্ব পাশে কোনো লিকেজ পাওয়া না গেলেও উত্তর পাশে পাইপে ছয়টি ছিদ্র পাওয়া গেছে। সেগুলো মেরামত করার পর গ্যাস সরবরাহ শুরু করা হয়েছে।”
তিনি বলেন, “মসজিদের উত্তর পাশে ৪ নম্বর কলামে বেইজমেন্টের ফাউন্ডেশন তিতাসের পাইপলাইন ছাড়িয়ে ছয় ইঞ্চি রাস্তার ভেতরে চলে গেছে। বেইজমেন্টের ফাউন্ডেশনের কাজ করার সময় তিতাসের পাইপের র্যাপিং নষ্ট করা হয়েছে। এ কারণে মাটির সংস্পর্শে এসে পাইপ ছিদ্র হয়েছে। সেই ছিদ্র দিয়ে গ্যাস বের হয়েছে।
তিনি বলেন, “এখানে বিদ্যুতের লাইন রয়েছে দুটি। তার মধ্যে একটি বৈধ। আরেকটি অবৈধ। আমাদের প্রাথমিক ধারণা, বিদ্যুতের চেঞ্জার দিয়ে লাইন ঘোরানোর সময় বৈদ্যুতিক স্পার্ক থেকে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের ফিজিক্যাল ইনভেস্টিগেশন যেটা ছিল সেটা শেষ করেছি। এখন আমাদের ফাইল ওয়ার্ক রয়েছে। স্থানীয় ডেটা কালেকশনের জন্য লোকজন ডেকেছি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।”