মসজিদে বিস্ফোরণে প্রত্যেক ক্ষতিগ্রস্তের ৫০ লাখ টাকা ও কর্মসংস্থান দাবি

নারায়ণগঞ্জে মসজিদে বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত প্রত্যেক পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ এবং কর্মসংস্থানের দাবি জানিয়েছে স্বজনরা।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 8 Sept 2020, 01:46 PM
Updated : 8 Sept 2020, 01:56 PM

মঙ্গলবার বিকালে বিস্ফোরণস্থল মসজিদের পেছনে বোম্বওয়ালা বাড়ির মাঠে বৃহত্তর তল্লাবাসী ব্যানারে নিহত ও আহত পরিবারের সদস্যরা এ দাবি জানান।

গত শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শহরের পশ্চিম তল্লা এলাকার বায়তুস সালাত জামে মসজিদে বিকট শব্দে বিস্ফোরণে অর্ধশতাধিক মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়। এর মধ্যে এক শিশু ও ওই মসজিদের ইমামসহ অন্তত ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। আরো নয়জন শঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপালের বার্ন ইউনিটে চিকিসাধীন রয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রাথমিকভাবে মনে করছে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট এবং গ্যাস পাইপলাইনের লিকেজ থেকে এ বিস্ফোরণ ঘটে।

বৃহত্তর তল্লাবাসীর ব্যানারে সংবাদ সম্মেলনে নিহত ইমাম আব্দুল মালেকের বড় ছেলে ফাহিম ইসলাম সবার পক্ষ থেকে প্রতিটি ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ৫০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং কর্মসংস্থানের দাবি উত্থাপন করেন।

মসজিদ বিস্ফোরণে হতাহত সবার পরিবারই নিম্ন আয়ের মানুষ জানিয়ে তিনি বলেন, এ পরিবারগুলো এখন নিঃস্ব।

“নিহত প্রত্যেকেই তাদের পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি ছিলেন। সকলেই দিনমজুর ছিল। তাই প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান নিহত ও আহত আমাদের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ান।”

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলার সময় হতাহতের স্বজনদের কান্নায় ভেঙে পড়দে দেখা যায়।

এদিকে, নারায়ণগঞ্জের এ বিস্ফোরণের পর সোমবার মাটি খুঁড়ে তিতাস কর্মীরা দেখেছেন, মসজিদের বর্ধিত অংশ তাদের গ্যাস লাইনের উপর নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যদিকে তিতাসের পাইপলাইনে দুটি ছিদ্র বের হওয়ার পর তিতাসের চার কর্মকর্তাসহ আট জনকে সাময়িক বরখাস্ত করাও হয়েছে।

এ বিস্ফোরণে মসজিদের ৬টি এসি জ্বলে পুড়ে গেছে। জানালার কাচ বিস্ফোরণে উড়ে গেছে। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, জেলা প্রশাসন, তিতাস গ্যাস, ডিপিডিসি, সিটি করপোরেশন পৃথক পাঁচটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।