ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভাই-বোনকে গলাকেটে হত্যা: মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ির খাটের নিচ থেকে উদ্ধার করা নিহত দুই শিশুর বাবা-মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 August 2020, 01:42 PM
Updated : 25 August 2020, 03:19 PM

মঙ্গলবার সকাল থেকে বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ গ্রামে হত্যা শিকারদের মা-বাবা ও প্রতিবেশী দুইজনকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে বলে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন জানিয়েছে।

হত্যাকারী নিহতের নিকট আত্মীয় হতে পারে পুলিশ সন্দেহ করছে জানিয়ে ওসি বলেন, “তবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত মামলা হয়নি।”

গলা কেটে হত্যা করা কামরুল ইসলাম (১০) ও শিফা আক্তারের (১৪) মরদেহ তাদের বাড়ির দুই ঘরের খাটের নিচে রেখে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সোমবার রাতে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহতরা সলিমাবাদ গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী কামাল উদ্দিনের সন্তান।

পরিবারের বরাত দিয়ে বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন জানান, সোমবার বিকাল ৩টা থেকে কামরুলকে পাওয়া যাচ্ছিল না। এ নিয়ে কামরুলকে খোঁজ করে এলাকায় মাইকিং করাও হয় এবং পুলিশকেও নিখোঁজের বিষয়টি জানানো হয়। পরে রাতে তাদের বাড়ির দুইটি ঘরের দুই খাটের নিচ থেকে কামরুল ও শিফার রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধারর করে।

মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে কামরুল ও শিফার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

মর্গে লাশের সঙ্গে আসা নিহতদের বোনের দেবর আসিফ জানান, কামরুল নিখোঁজ হওয়ার পর যখন তাকে বিকালে যখন খোঁজা হচ্ছিল, তখনও শিফা পরিবারের সদস্যদের সাথে ছিল।

কামরুলকে খোঁজার সময় বাড়ি অনেকটা ফাঁকা হয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, রাতে বাড়ির আলাদা দুইটি কক্ষের খাটের নিচে কামরুল ও শিফার মরদেহ দেহ দুইটি দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা।

এদিকে, অন্য এক মামলায় ওই বাড়িতে আত্মগোপনে থাকা নিহতদের মামা বাদলকে এ হত্যাকাণ্ডের পর থেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলেও জানান আসিফ।