ফরিদপুর ছাত্রলীগের সভাপতি, সম্পাদককে বহিষ্কার

শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত অভিযোগে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীম ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

শনিবার কেন্দ্রীয় সংসদরে নির্বাহী সংসদের প্যাডে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য্য স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ছাত্রলীয় কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে সংগঠনের নীতি আদর্শ ও শৃংখলা পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকায় নিশান মাহমুদ শামীম ও সাইফুল ইসলাম জীবনকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হল।

একটি অর্থপাচার মামলায় শুক্রবার ঢাকার উত্তরা থেকে ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ।

ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ফরিদপুর প্রেসক্লাবের বহিষ্কৃত সভাপতি ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের দুই হাজার কোটি টাকা অর্থপাচার মামলার সহযোগী হিসেবে নিশান মাহমুদ শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তবে সাধারণ সম্পাদক সুইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে কী অভিযোগ রযেছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা সংগঠনের কোনো সূত্র জানাতে পারেনি।

গত ১৬ মে রাতে ফরিদপুর শহরের মোল্লা বাড়ি সড়কে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় সুবল সাহা গত ১৬ মে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

গত ৭ জুন পুলিশ ওই মামলার আসামি হিসেবে সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও তার ভাই ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ নয়জনকে গ্রেপ্তার করে।

পর গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় সিআইডির পরিদর্শক এস এম মিরাজ আল মাহমুদ বাদী হয়ে গত ২৬ জুন ঢাকার কাফরুল থানায় অর্থপাচারের অভিযোগে বরকত ও রুবেলকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন।

ওই মামলায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নিশান মাহমুদ শামীমকে সিআইডি গ্রেপ্তার করেছে।