নিখোঁজের চার দিন পর ঢাবির সেই শিক্ষার্থীকে ছাড়ল ডিবি

কক্সবাজারে তুলে নেওয়ার চারদিন পর বড়ভাই সহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই ছাত্রকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

কক্সবাজার প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 July 2020, 03:57 PM
Updated : 28 July 2020, 03:58 PM

মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে দুই ভাইকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলে জানান জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মানস বড়ুয়া।

ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মানস বলেন, জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় জড়িত থাকার খবরে গত শুক্রবার বিকালে মহেশখালীর ইউনুছখালীর বাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রেদুয়ান ফরহাদকে আটক করে ডিবি পুলিশের একটি দল। এর আগের দিন একই অভিযোগে তার বড় ভাই রাশেদ খান মেননকে আটক করা হয়।

“পরে তাদের ডিবি কার্যালয়ে এনে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। চারদিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদের পর জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকা তথ্যের সত্যতা না পাওয়ায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”

দিলরুবা খানম বলেন, মঙ্গলবার বিকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে তার দুই ছোটভাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় তারা বাড়ি ফিরেছে। এখন তারা বাড়িতে অবস্থান করছে।  

গত শুক্রবার বিকালে মহেশখালী উপজেলার কালারমারছড়া ইউনিয়নের ইউনুছখালীর গ্রামের বাড়ি থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র রেদুয়ান ফরহাদকে সাদা পোশাকের আটজনের একটি দল তুলে নিয়ে যায়। এর আগের দিন বিকালে ইউনুছখালীর স্থানীয় বাজার থেকে তার ভাইকেও নিয়ে যাওয়া হয়।

সে সময় নিখোঁজদের স্বজনরা জানিয়েছিল, ডিবি পুলিশ পরিচয়ে সাদা পোশাকের একদল লোক দুই ভাইকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে স্বজনরা মহেশখালী থানাসহ ডিবি কার্যালয়ে খোঁজ নিলেও সন্ধান পায়নি। এমন কি থানায় নিখোঁজের ঘটনায় জিডি করতে চাইলেও পুলিশ তা গ্রহণ করেনি।

আর কক্সবাজার জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী আশরাফুজ্জামান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেছিলেন, ডিবি পুলিশ এ ধরনের কোনো অভিযান পরিচালনা করেনি। অন্য কোনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাদের নিয়ে গিয়ে থাকলে পুলিশের কাছেই হস্তান্তর করবে।

তবে নিখোঁজদের বড় বোন দিলরুবা খানম বলে আসছিলেন, কক্সবাজার শহরের বিজিবি ক্যাম্প এলাকায় তাদের কিছু পরিমাণ পারিবারিক জমি রয়েছে। বর্তমানে ওই জমিতে বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চলছে। গত ২/৩ মাস আগে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা পরিচয় দিয়ে জনৈক ব্যক্তি রেদুয়ান ফরহাদকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে চাঁদা দাবি করেছিল।

ঘটনার ব্যাপারে জানতে মুক্তি পাওয়া ঢাবি শিক্ষার্থী রেদুয়ান ফরহাদের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও সাড়া পাওয়া যায়নি।

অনার্সে ভর্তি হওয়ার বছর খানেক পর ঢাকার শাহবাগ থানায় জঙ্গি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে দায়ের একটি মামলায় রেদুয়ান ফরহাদকে আসামি করা হয়েছিল বলে জানান তার বড় বোন।