গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকিতে

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে আসা পানির চাপে গাইবান্ধায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ও একাধিক সড়ক হুমকির মূখে পড়েছে।

গাইবান্ধা প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 16 July 2020, 11:15 AM
Updated : 16 July 2020, 11:15 AM

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান জানান, পানির চাপ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় ফুলছড়ি উপজেলার ভাষারপাড়া ও মাঝিপাড়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ এবং গাইবান্ধা সদর উপজেলার দক্ষিণ ঘাগোয়া ও কিশামত বালুয়া এলাকায় ঘাঘট নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, ভাষারপাড়া এলাকায় বাঁধে ছিদ্র হওয়ায় যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পারে। তবে ভাঙন ঠেকাতে বালির বস্তা ফেলে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা চলছে। মাঝিপাড়া ও দক্ষিণ ঘাগোয়াসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোয়ও বালির বস্তা ফেলা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কে উল্যা ভরতখালী এলাকায় বিভিন্ন স্থানে বাঁধের ওপর দিয়ে পানি যাচ্ছে। সড়কের ১০টি পয়েন্ট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে এবং হুমকিতে রয়েছে কয়েকটি স্লুইস গেট।

ফলে যেকোনো সময় ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে স্থানীয়রা বালুর বস্তা দিয়ে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

সাঘাটার ভরতখালী হাট এলাকার কৃষক জাকির হোসেন বলেন, ভরতখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গেট সংলগ্ন পশ্চিমে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধটি হুমকির মুখে রয়েছে। বস্তা দিয়ে বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করা হচ্ছে।

ভরতখালি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুল আজাদ শীতল জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ড সময়মতো কাজ না করায় বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ওপর নির্মিত গাইবান্ধা-সাঘাটা সড়কের ১০ কিলোমিটার হুমকিতে রয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রক্ষায় সম্মিলিত চেষ্টা অব্যাহত আছে। একই কথা জানালেন ফুলছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু রায়হান দোলনও।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা একেএম ইদ্রিস আলী বলেন, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ৬০টি গ্রামের এক লাখ ৫৬ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তাদের জন্য এ পর্যন্ত ৩২০ মেট্রিকটন চাল ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।