চাঁদপুরে যুবকের লাশ উদ্ধার, ডেকে নিয়ে খুনের অভিযোগ

চাঁদপুরের মতলবের ওয়াপদা লেক থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

চাঁদপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 June 2020, 12:46 PM
Updated : 30 June 2020, 12:46 PM

মঙ্গলবার মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভার নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের এ লেক থেকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ চাঁদপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

নিহত ওয়াসিম (৩২) নয়াকান্দি শিকিরচর গ্রামের সাহেব আলী বেপারীর ছেলে।

মতলব উত্তর থানার ওসি নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, “ওয়াসিমকে পরিকল্পিতভাবে মাথায় আঘাত করে হত্যার পর ওয়াপদা লেকের পানিতে ফেলে রাখা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”

নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিনকে বাদী করে হত্যা মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘাতকদের আটকের জন্য চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।

পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃত করে ওসি নাসির জানান, গত সোমবার রাত ১২টার পর ট্রলিচালক ওয়াসিমকে তার চাচাত ভাই মিজানুর রহমান বেপারী ওরফে বালু মিজান মোবাইলে ফোন করে ডেকে নিয়ে যান। এরপর আর ওয়াসিম ঘরে ফেরেননি।

মঙ্গলবার সকালে বালু মিজানের ভাই আজাদ ওয়াসিম ডাকতে আসেন। তারপর ওয়াসিমের খোঁজ করা শুরু হয়। মিজানের ঘরের পাশে মেঝেতে লেগে থাকা রক্ত পানি দিয়ে মুছতে দেখে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হয়। পরে মিজানের ঘরের পাশে ওয়াপদা লেকের পানিতে লাশ দেখতে পায় তারা। স্বজন ও প্রতিবেশীরা লাশ উদ্ধার করার পর ওয়াসিমের লাশ বলে শনাক্ত করে বলে জানান তিনি।

নিহতের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, সোমবার রাতে ওয়াসিম ঘরেই ছিল। রাত ১২টার পর তার ফোনে কল আসে। এরপর ওয়াসিম ঘর থেকে বের হওয়ার সময় কোথায় যাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলে, ‘মিজান ভাই আমাকে ফোন দিছে, কথা শোনার জন্য।’

“এর কিছুক্ষণ পর ওয়াসিমের নম্বরে ফোন দিলে মোবাইল বন্ধ পাই। সারা রাতেও তিনি ঘরে ফেরেননি।”

মঙ্গলবার সকালে আজাদ এসে তার খোঁজ করার পর মিজানের ঘরের সামনে রক্ত দেখে ওয়াসিমকে খুঁজতে বের হন তিনি। মিজানের ঘরের পাশেই ওয়াপদা লেকে ওয়াসিমের লাশ খুঁজে পান বলে জানান নিহতের স্ত্রী।

তিনি আরো বলেন, “আমার বিয়ের পর থেকেই মিজানদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ দেখছি। তারা আমার স্বামী ওয়াসিমকে কয়েকবার মারধরও করেছে।”

লাশ মর্গে পাঠানোর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশের সুরতহাল তৈরি করেছে পুলিশ।