শনিবার হবিগঞ্জের টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের ব্যানারে জেলা প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছেন তারা।
এতে জেলা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক ফোরামসহ বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন অংশ নেয়। উপস্থিত ছিলেন, প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার দুই শতাধিক সাংবাদিক।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা করা হলেও বিষয়টি জানাজানি হয় দুই দিন আগে। এরপর স্থানীয় সাংবাদিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।
বানিয়াচং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলমের দায়ের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই মামলার আসামিরা হলেন মাছরাঙা টেলিভিশনের হবিগঞ্জ প্রতিনিধি চৌধুরী মো. মাসুদ আলী ফরহাদ ও বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি বদরুল আলমসহ আরও কয়েকজন।
বক্তব্যে হবিগঞ্জ টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন সভাপতি রাসেল চৌধুরী বলেন, সত্য সংবাদ প্রকাশের পরও মৎস্য কর্মকর্তা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছেন। শীঘ্রই এই মামলা তুলে না নিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ শাবান মিয়া বলেন, একজন সরকারি কর্মকর্তা হয়ে সৎ দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছেন তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। শীঘ্রই এই মামলা প্রত্যাহার না করলে পরবর্তীতে এর দায়ভার ওই ‘দুর্নীতিবাজ’ মৎস্য কর্মকর্তাকে নিতে হবে।
টিভি জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন হবিগঞ্জের সভাপতি রাসেল চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম সুরুজ আলীর পরিচালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তৃতা করেন জেলা প্রেসক্লাব সভাপতি মো. ইসমাইল, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহির, সাবেক সভাপতি রুহুল হাসান শরীফ, শুয়েব চৌধুরী, মোহাম্মদ নাহিজ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ ফরিয়াদ, নির্মল ভট্টাচার্য্য রিংকু, শাহ ফখরুজ্জামান প্রমুখ।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কয়েকটি সামাজিক সংগঠনের সদস্যরাও এই মানববন্ধনে অংশ নেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, বানিয়াচং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলম এক কর্মস্থলে টানা দীর্ঘদিন চাকরির সুবাধে বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গেছেন অভিযোগ তুলে দুর্নীতি দমন কমিশন ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন স্থানীয় কয়েকজন। এটি স্থানীয় ও জাতীয় কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
পরে হবিগঞ্জের একটি আদালতে কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদন করেন আলম; কিন্তু ওই আদালত মামলাটি না নেওয়ায় পরবর্তীকালে তিনি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।