হাটের ইজারাদার নাজমুল হাসান বলেন, করোনাভাইরাস তাকে সর্বস্বান্ত করে দিচ্ছে। আগে প্রতি হাটে অন্তত পাঁচ হাজার পশু বেচাকেনা হত। এ থেকে আয় হত পাঁচ লাখ টাকার বেশি।
“এখন ১০০ থেকে ২০০ পশু কেনাবেচা হয়। গত দুই সপ্তায় চারটি হাটে উঠেছে যথাক্রমে ৩৮ হাজার, ৫৯ হাজার, এক লাখ ও এক লাখ ১৮ হাজার টাকা। অথচ প্রতি হাটে কর্মচারীদের বেতন দিতে হয় প্রায় ৫০ হাজার টাকা।”
“সরকার ইজারা মূল্য অন্তত ৬০ শতাংশ না কমালে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার আর কোনো গতি নেই।”
যশোর জেলা শহর থেকে ৩৭ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে যশোর-সাতক্ষীরা সড়কের পাশে শনি ও মঙ্গলবার সপ্তাহে দুই দিন এই হাট বসে।
হাট কমিটির সহ-সভাপতি ইয়াকুব হোসেন বিশ্বাস বলেন, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঝিনাইদহ, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ অন্তত ২০টি জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ব্যাপারিরা আসে এ হাটে। কিন্তু এখন তারা আসছে না।
সামটা গ্রামের মাছুম বিল্লাহ বলেন, ঈদুল ফিতরে অন্তত ১০টা গরু বিক্রির আশা ছিল তার। কিন্তু করোনাভাইরাসে কারণে হাট বন্ধ থাকায় এখনও একটিও বেচতে পারেননি।
“গরু নিয়ে পড়িছি মহা বিপদে। হাটে নিয়ে আইছি। ব্যাপারি আসতিছে না বলে বেচতি পারতিছি নে। ব্যবসার সব টাকা গরুর খাদ্যে যোগান দিতে শেষ হয়ে গেছে। এখন পশুখাদ্য কিনতি যেয়ে হিমশিম খাচ্ছি।”