সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পাকশিমুল গ্রাম থেকে এ চাল উদ্ধার করা হয়। তবে শুক্রবার রাত ১০টার দিকের এ ঘটনায় কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ চাল কার্ডধারীরা ডিলারের কাছ থেকে ‘উত্তোলন করে বিক্রি করে দিয়েছিলেন’ বলে জানা গেছে।
সরাইল থানা পুলিশের অরুয়াইল ক্যাম্পের উপ-পরদির্শক (এসআই) মো. কামরুজ্জামান জানান, পাকশিমুল গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান ও তার ভাই আজিজুলের বসত ঘরে হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দ সরকারের খাদ্যবান্ধব কমূসূচির চাল মজুদ রয়েছে- এমন সংবাদ পেয়ে শুক্রবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় হাবিবুরের ঘর থেকে ১১ বস্তা ও আজিজুলের ঘর থেকে ১০ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়। প্রতিটি বস্তায় ৫০ কেজি করে চাল রয়েছে।
তিনি বলেন, “চালগুলো অন্য একজন কিনে এনে তাদের ঘরে রেখেছিলেন বলে আমাদের জানিয়েছে। বিষয়টি সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) আবু সালেহ মো. মুসাকে জানানো হয়েছে। তিনি এ বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।”
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও আবু সালেহ মো. মুসা বলেন, যাদের ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে চালগুলো তাদের নয় বলে জানিয়েছেন। নৌকায় কাজ করে একজন কার্ডধারীদের কাছ থেকে চালগুলো কিনেছে। সে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে নিয়ে চাল বিক্রি করে।
“আমি পুলিশকে বলেছি যদি সে গরিব হয় তাহলে তার কাছ থেকে মুচলেকা নেওয়ার জন্য, আর যদি তাকে জরিমানা করার মতো হয় তাহলে আমরা তাকে ধরতে পারলে জরিমানা করব।”
এসব চাল দুর্গতদের জন্য ত্রাণ হিসেবে বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।