ঈদ: ‘অনেক দিন এত পয়সার মুখ দেখিনি‘

করোনাভাইরাসের ঝুঁকির মধ্যে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষত চিহ্ন নিয়ে ঈদ উৎসবে মেতেছে যশোরের শার্শার মানুষ। তবে অবরুদ্ধে রোজগার হারানো কারো কারো খুলে দিয়েছে আয়ের পথও।

আসাদুজ্জামান আসাদ, বেনাপোল প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 May 2020, 02:21 PM
Updated : 25 May 2020, 04:04 PM

বিধি নিষেধে সোমবার মুসলমান এলাকাবাসীর সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব এই ঈদে খোলা ময়দানে জামাতে নামাজ পড়ার খবর পাওয়া যায়নি। তবে নামাজ শেষে অসংখ্য মানুষকে বাজারঘাটে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়।

থ্রিহুইলার চালক বাগআচড়ার মিলন হোসেন বলেন, ঈদের দিন ছেলেপেলেরা একটু আনন্দ করছে। আমাদেরও দুটো পয়সা হচ্ছে।

“অনেক দিন হল এত পয়সার মুখ দেখিনি। আজ দুই হাজার টাকা রোজগার হয়েছে।”

জামতলা জামে মসজিদের সভাপতি মাওলানা ফারুক হাসান বলেন, “যারা মসজিদের আসছিলেন, তাদের প্রত্যেককে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করতে হয়েছে। সবাইকে বলা হয়েছিল বাসা থেকে ওজু করে মাস্ক পরে ও জায়নামাজ নিয়ে মসজিদে আসতে।

“সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বসা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল।”

তিন মাস ধরে করোনাভাইরাসের মহামারী ঠেকাতে লড়ছে বাংলাদেশ। ছোঁয়াচে এ রোগের বিস্তার রোধে গত ২৬ মার্চ থেকে চলছে সরকার ঘোষিত ‘সাধারণ ছুটি।’ এ সময় সবাইকে ঘরে থাকার সরকারি নির্দেশ রয়েছে।

তবে শিশু-কিশোর ও যুবকদের ঈদ দিন বেশি ঘোরাঘুরি করতে দেখা গেছে। মোটরসাইকেল, নছিমন, প্রাইভেট কার, ইজিবাইক ও থ্রিহুইলারে চড়ে ঘুরে বেড়ায় অনেকে। তবে সামাজিক দূরত্ব মানার তাগিদ দেখা যায়নি তাদের মধ্যে।

এক ভ্যানে বসা চারজনের মধ্যে একজন মন্টু ড্রাইভার বলেন, “আজ কোনো ঝামেলা নেই। তাই কয় ভাই বসে বাদাম খাচ্ছি।

তিনটি মোটরসাইকেলে করে নয় বন্ধু এসেছে জামতলার মিষ্টি খেতে। তাদেরই একজন বেনাপোলের সাইদুর রহমান।

সাইদুর বলেন, “দুমাস ধরে ঘরে বন্দি। ঈদের দিন বলে রাস্তায় প্রশাসনের কেউ নাই। তাই একটু ঘুরে বেড়াচ্ছি।“ 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পুলক কুমার মন্ডলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, “আমরা সকাল থেকেই মাঠে আছি। পুলিশ প্রশাসনও টহল দিচ্ছে। সামনে যারা পড়েছে তাদেরকে বাড়ি থাকার জন্য অনুরোধ করে ফেরত পাঠিয়েছি।”