ফেরিতে গাদাগাদি করে আসছেন ঢাকামুখীরা

করোনাভাইরাসের ঝুঁকি ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার বলা হলেও মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ফেরিঘাটে কমছে না ঢাকামুখী মানুষের ঢল।

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 11 May 2020, 10:24 AM
Updated : 11 May 2020, 10:58 AM

সোমবারও ঢাকামুখী নানা পেশার শত শত মানুষ শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুট দিয়ে ঢাকা ও এর আশেপাশের জেলাগুলোতে ফিরেছেন।

বিআইডব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের এজিএম মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, “এখন শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি নৌরুটে ১২টি ফেরি চলাচল করছে। আজও শতশত ঢাকমুখী যাত্রী পার হয়েছে ফেরিতে করে।”

করোনাভাইরাস মহামারী আতঙ্কের মধ্যে গত ২৬ মার্চ সরকার প্রায় সবকিছু বন্ধু ঘোষণা করলে ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের ২১ জেলার মানুষের চলাচলের এই পথে ভিড় শুরু হয়। সমালোচনার মুখে সরকার সে সময় জরুরি প্রয়োজনের জন্য একটি বাদে সব ফেরি বন্ধ করে দেয়।

প্রায় তিন সপ্তাহ পরে সরকারি-বেসরকারি কিছু প্রতিষ্ঠান আবার খুলে গেলে এই পথে পাঁচটা ফেরিও চালু করা হয়। সেই থেকে দৈনিক এখানে ভিড় যেন ক্রমেই বেশি করে বেড়ে চলেছে, যেখানে করোনাভাইরাস মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়ার এখন পর্যন্ত সেরা উপায় হল পরস্পর থেকে দূরত্ব বজায় রাখা।

সকালে সরেজমিনে দেখা যায়, কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে ফেরিতে করে শত শত লোক শিমুলিয়া ঘাটে আসছেন। ফেরিতে তারা গা ঘেঁষাঘেঁষি করে তারা পার হচ্ছেন প্রমত্তা পদ্মা। ফেরিগুলোতে কয়েকটি গাড়িও দেখা গেছে। এরপর ফেরি ঘাটে ভেড়ার পর ধাক্কাধাক্কি করে নামার প্রতিযোগিতা শুরু করেন যাত্রীরা। তারপর ফেরি থেকে নেমে কে কার আগে যানবাহনে উঠবে এনিয়েও ছোটাছুটি শুরু হয়।

এদিকে বাস না থাকায় প্রতিদিনের মত যাত্রীরা নসিমন-করিমন, অটোরিকশা, টেম্পো, ট্যাক্সি ও মোটর সাইকেলে করে রওনা হন যার যার গন্তব্যে। এতে তাদের কয়েকগুণ বেশি ভাড়া গুণতে হচ্ছে।

এদিকে ফেরিতে প্রতিদিন এভাবে লোক পার হতে দেখে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি লঞ্চ মালিকগণ দাবি করেছে তাদের লঞ্চ পারাপরের জন্য খুলে দিতে।

মোশারফ হোসেন নসু নামে এক লঞ্চ মালিক তার ফেইসবুকে পোস্টে লিখেছেন- “তাহলে আমদের দোষ কি? ফেরিতে যদি এভাবে লোক পার হয়, তবে আমাদেরকেও লঞ্চে পারাপারের অনুমতি দেওয়া হোক। তাতে গাদাগাদি কম হবে, করোনাভাইরাসের সংক্রামণের আশঙ্কা কম থাকবে।”
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক সিরাজুল কবির বলেন, “সরকার গার্মেন্টেস খোলার ঘোষণার পর এবার মার্কেট খোলার ঘোষণা দিয়েছে। তাই নানা শ্রেণি-পেশার শতশত লোক গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা ও তার আশেপাশের জেলাগুলোতে ছুটছে।”