যশোর কতোয়ালি থানার ওসি মো. মুনিরুজ্জামান জানান জানান, জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মঞ্জুরুল ইসলাম রোববার কাজলকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
রোববার সকালে বেনাপোল বন্দর থানার ওসি মামুন খান জানিয়েছিলেন, শনিবার গভীর রাতে রঘুনাথপুর সীমান্ত থেকে বিজিবি এ ব্যক্তিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তারা জানতে পারেন ওই ব্যক্তি ঢাকা থেকে নিখোঁজ ফটোসাংবাদিক শফিকুল ইসলাম কাজল।
অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে থানায় বিজিবি একটি মামলা করেছে বলে ওসি মামুন জানিয়েছিলেন।
গত ১০ মার্চ থেকে কাজলের খোঁজ মিলছে না জানিয়ে প্রথমে ঢাকার চকবাজার থানায় জিডি ও পরে মামলা করেন তার ছেলে মনোরম পলক।
বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে দুই হাত পেছনে দিয়ে হাতকড়া পরিয়ে শফিকুল ইসলাম কাজলকে যশোর আদালতে আনে পুলিশ।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) এএসআই সুবোধ ঘোষ বলেন, কাজলের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে একটি মামলা করে বিজিবি। সেই মামলায় পুলিশ তাকে আদালতে হাজির করে।
তিনি বলেন, আদালতের ফরোয়ার্ডিংয়ে পুলিশ কাজলের বিরুদ্ধে রাজধানীর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছে।
“এ সময় তার পক্ষে জামিনের আবেদন করলে আদালত মঞ্জুর করে।”
কাজলের আইনজীবী দেবাশীষ দাসকে উদ্ধৃত করে তার সহকারী শিক্ষানবিস আইনজীবী সুদীপ্ত ঘোষ সাংবাদিকদের বলেন, “পুলিশ কাজলের বিরুদ্ধে বিজিবির করা অবৈধ অনুপ্রবেশের মামলা ছাড়াও রাজধানীর তিনটি থানায় আরও তিনটি মামলা থাকার কথা উল্লেখ করে। গত ৯, ১০ ও ১১ মার্চ যথাক্রমে শেরেবাংলা নগর, হাজারীবাগ ও কামরাঙ্গির চর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এই তিনটি মামলা হয়। আদালত এই মামলা তিনটি সম্পর্কে কোনো আদেশ দেয়নি।”
যশোর আদালত হাজতের ইনচার্জ পুলিশের এটিএসআই সন্তোষকুমার বিশ্বাস বলেন, ৫৪ ধারার একটি মামলায় আদালত বিকালে সাংবাদিক কাজলকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়। সেই অনুযায়ী সন্ধ্যার আগেই তাকে যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।