রাজশাহীতে ৩৩ কয়েদির সাজা মওকুফ

করোনাভাইরাস সংকটে চাপ কমাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ৩৩ কয়েদির সাজা মওকুফ করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে ১৭ জনকে রোববার কারাগার থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদের ছাড়র প্রক্রিয়া চলছে বলে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ সুপার গিয়াস উদ্দিন জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সরকার লঘু অপরাধের আসামিদের সাজা মওকুফ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ রকম বন্দিদের তালিকা কিছুদিন আগে কারা অধিদপ্তর নিয়েছিল। সারাদেশ থেকে তালিকা পাওয়ার পর প্রথম পর্যায়ে ২ হাজার ৮৮৪ জনকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রথম পর্যায়ে রাজশাহীর ৩৩ জন কয়েদিকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য শনিবার তিনি চিঠি পেয়েছেন। সাজার মেয়াদ এক বছর কিন্তু ছয় মাস বা তারও বেশি সাজা খেটেছেন এ রকম কয়েদিদেরই সাজা মওকুফ করা হয়েছে। রাজশাহীর ৩৩ জনের মধ্যে শনিবার সন্ধ্যায় ১৭ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যরাও চলে যাবেন দুই-এক দিনের মধ্যে। যে মামলায় সাজা হয়েছিল সে মামলায় তাদের আর কারাগারে যাওয়া লাগবে না। সাজা একেবারেই মওকুফ করে দেওয়া হয়েছে।

সরকার শুধু কারাদণ্ড মওকুফ করেছে জানিয়ে তিনি বলেন, জরিমানা মওকুফ করা হয়নি। অনেকেরই কারাদণ্ডের পাশাপাশি অর্থদণ্ড রয়েছে। যাদের অর্থদণ্ড ছিল না তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আর ১৬ জনের জরিমানা পরিশোধ করা নেই বলে তারা যেতে পারছেন না। তাদের স্বজনরা জরিমানার টাকা জমা দিলেই ছেড়ে দেওয়া হবে।

গিয়াস উদ্দিন বলেন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের ধারণক্ষমতা এক হাজার ৪৫০ জন। কিন্তু রোববার সকাল পর্যন্ত হাজতি এবং কয়েদি মিলিয়ে বন্দি ছিলেন তিন হাজার ৬১০ জন। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে আরও দুই দফায় কিছু বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হতে পারে।