সোমবার ভোরে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে বলে জেলা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার শাকরিয়া হায়দার জানান।
থানচি উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, “সোমবার ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ থানচি বাজারে আগুন লাগে। পরে তা দ্রুতই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় এবং আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় বাজারের ২০০টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।
বাজারে পাইকার ব্যবসায়ী মো. ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আগুনে আমার গুদামের সব মালামাল পুড়ে গেছে। শুধু নগদ কিছু টাকা বের করতে পেরেছি।”
আগুনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বাজারে ওষুধের ও একটি ভাতের দোকান রয়েছে উচাইসা মারমার।তিনি বলেন, ভাতের দোকান থেকে কিছু জিনিস বের করে আনতে পারলেও ওষুধের দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে।
এদিকে উপজেলা সদরে বাস স্টেশনের পাশে একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থাকলেও তা চালু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তদের একজন অ্যাডভোকেট উবাথোয়াই মারমা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “তাৎক্ষণিকভাবে ফায়ার সার্ভিস কাজ করতে পারলে এতো ক্ষয়ক্ষতি হতো না। সাঙ্গু নদীর পানি ও বাজারে পাশে একটা পুকুরও ছিল। এতো সুন্দর পানির ব্যবস্থা থাকার সত্ত্বেও বিশাল ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না।”
একই অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দা মংসিংহাই মারমা।
শহর থেকে থানচির দূরত্ব ৮৫ কিলোমিটার জানিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা শাকরিয়া হায়দার বলেন, খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বান্দরবান শহর ও রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে দুটি ইউনিট সেখানে কাজ করতে যায়।
“কিন্তু পাহাড়ি এলাকা ও দূরত্ব হওয়ায় ততক্ষণে অনেক ক্ষতি হয়ে যায়।বাজারের ‘জনপ্রিয়’ হোটেলের গ্যাস সিলিন্ডার থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।”