যশোর সোমবার থেকে অবরুদ্ধ

যশোর জেলা অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউনে যাচ্ছে; পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত সোমবার সকাল ৬টা থেকে অবরুদ্ধ থাকবে এ জেলা।

যশোর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 26 April 2020, 12:28 PM
Updated : 26 April 2020, 12:28 PM

রোববার বিকেল ৪টায় যশোর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনোম সেন্টার থেকে রোববার সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা পরীক্ষার যে ফল সরবরাহ করা হয়, তাতে যশোরের ১৪ ব্যক্তি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে সরকারিভাবে নিশ্চিত করা হয়।

অবনতিশীল পরিস্থিতিতে জেলা করোনাভাইরাস প্রতিরোধ সমন্বয় কমিটির সভা সকাল সাড়ে ১০টায় যশোর সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ এতে সভাপতিত্ব করেন।

সভায় অন্যদের মধ্যে অংশ নেন যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন, করোনা সংক্রান্ত সেনা তৎপরতায় যশোরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা লে. কর্নেল নিয়ামুল, সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. দীলিপকুমার রায়সহ প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা।

সভায় অংশ নেওয়ারা জানান, সেখানে উপস্থিত কর্মকর্তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত বলে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দ্রুত বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাব্য করণীয় হিসেবে জেলাকে লকডাউন ঘোষণার পক্ষে মতামত দেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিকালে যোগাযোগ করা হলে জেলা প্রশাসক বলেন, “লকডাউনের সিদ্ধান্ত হয়েছে; যা আগামী সোমবার ভোর ৬টা থেকে কার্যকর হবে। লকডাউনের আওতায় থাকবে গোটা যশোর জেলা।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত ব্যক্তির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে জানিয়ে তিনি বলেন, “অথচ কোনোভাবেই মানুষকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শৃঙ্খলার মধ্যে আনা যাচ্ছে না। সেকারণে আরো কঠোর পদক্ষেপ হিসেবে জেলা লকডাউন করা হচ্ছে “

তবে জরুরি সেবা যেমন অ্যাম্বুলেন্স, হাসপাতাল, ওষুধের দোকান, কাঁচাবাজার, নিত্যপণ্যের দোকান, কৃষি সংক্রান্ত বিষয়াদি যেমন সার, বীজ, কীটনাশকের দোকান, ফুয়েল স্টেশন প্রভৃতি লকডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

এর আগে যশোরের চৌগাছা শহরকে প্রথম লকডাউন করা হয়। পরে গোটা উপজেলাকে লকডাউনের আওতায় আনা হয়।