জেনারেল হাসপাতালে করোনাভাইরাস আক্রান্তদের জন্য নির্ধারিত আসোলেশন ওয়ার্ডে রোববার দুপুরে ৪৫ বছর বয়সী এই নারীর মৃত্যু হয় বলে হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তাপস কুমার সরকার জানান।
এদিকে, মৃত নারীর স্বামী অভিযোগ করেন, ১০ মাস আগে ইউটেরাস টিউমার অপারেশন করার পর থেকে তার স্ত্রীর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার অ্যাজমাসহ মূত্রনালীর সংক্রমণ ছিল।
তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে বেশি অসুস্থ হওয়ায় তাকে শুক্রবার সকালে মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান তারা। সেখানে ভর্তি বা চিকিৎসা না দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন চিকিৎসকরা। “কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসলে ডাক্তার দেখে করোনাভাইরাস ওয়ার্ডে ভর্তি করেন। ওই ওয়ার্ডে রেখে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি তাকে।”
কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, “যেহেতু করোনা সন্দেহে আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হওয়া ওই রোগীর নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এখনও আমরা জানতে পারিনি, সেকারণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিত পদ্ধতি অনুসরণ করে মরদেহ দাফন করা হবে।”
এছাড়া রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত ওই পরিবারসহ আশপাশোর কয়েকটি বাড়ি অবরুদ্ধ করতে প্রশাসনকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর অভিযোগ সঠিক নয় দাবি করে তিনি বলেন, “ঠাণ্ডা জ্বর, সর্দি শ্বাসকষ্ট নিয়ে যেকোনো রোগী আসলেই আমাদের কাছে করোনাভাইরাস আক্রান্তের বিষয় বিবেচনাযোগ্য।”